ডিআরএস যেন বাংলাদেশের গলার কাটা!

|

ছবি: সংগৃহীত

ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা ডিআরএস যেন গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের জন্য। আরও একবার হতোদ্যম হতে হয়েছে অধিনায়ক মুমিনুল হক। সারেল আরউইকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেও রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করায় এই প্রোটিয়া ওপেনারের উইকেট হয়েছে হাতছাড়া। ডিআরএসের ব্যবহারে অধিনায়কের পাশাপাশি উইকেটরক্ষক হতে পারেননি বিচক্ষণ।

এঁবেখা টেস্টের প্রথম দিনে ইনিংসের তৃতীয় ওভারের ৪র্থ বলে সারেল আরউইকে দারুণ অ্যাঙ্গেলে পরাস্ত করেন খালেদ আহমেদ। জোরালো আবেদনে অবশ্য সাড়া দেননি আম্পায়ার। উইকেটের পেছন থেকে খালেদের সাথে আবেদনে যোগ দেন লিটন দাস। তবে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না এই উইকেটরক্ষক। রিভিউয়ের জন্য এগিয়ে যান খালেদ। তবে শেষ পর্যন্ত অধিনায়কের মন গলতে গলতে চলে যায় নির্ধারিত ১৫ সেকেন্ডের বেঁধে দেয়া সময়। অথচ পিচিং আউট সাইড অফ থাকলেও উইকেট হিটিং, ইম্প্যাক্ট ইন লাইনের কারণে রিপ্লের পর ধারাভাষ্যকারদের কণ্ঠে ছিল আক্ষেপ।

অবশ্য এর আর নতুন কী! ডারবান টেস্টের ১ম ও তৃতীয় ইনিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা যখন ব্যাট করে তখনও রিভিউ নষ্ট হয় ব্যবহার না করেই। শুধু তাই নয়, অধিনায়ক মুমিনুলের গেল কয়েক বছরের পরিসংখ্যান বলে ডিআরএস সিস্টেমের সদ্ব্যবহারে অন্য অধিনায়কদের চেয়ে ঢের পিছিয়ে তিনি। অথচ ডিআরএস কাজে লাগাতে উইকেটরক্ষককেও হতে হয় আরও বেশি সাবলীল।

২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রেক থ্রু’র জন্য রিভিউ নিতে বাকিরা যখন ক্লোজ লাইনে দাঁড়িয়ে খুব বেশি আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না, তখন মিড অফে থাকা তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব ছিলেন সাহসী। ডিআরএসের সদ্ব্যবহার পারফরমেন্সেরই অংশ, যেখানে গেল কয়েক বছরে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। পরিস্থিতি উন্নয়নে অধিনায়কের পাশাপাশি উইকেটের পেছন থেকে লিটন রাখতে পারেন বড় ভূমিকা।

আরও পড়ুন: দিনটি সম্পূর্ণ প্রোটিয়াদের হতে দিলেন না তাইজুল-খালেদ

এম ই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply