অতিরিক্ত পেঁয়াজ আমদানি করে পথে বসেছেন হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না হওয়ায় গুদামেই পঁচে নষ্ট হচ্ছে ভারত থেকে আনা পেঁয়াজ। এখনও বিক্রির অপেক্ষায় গুদামে পড়ে আছে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন। তবে আমদানি বন্ধ থাকলেও রমজান মাসে খোলা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা নেই।
কিছুদিন আগেও পেঁয়াজের দাম ছিল আকাশ ছোঁয়া। আমদানি করেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছিলো না। আর এখন ভারত থেকে আনা পেঁয়াজ কিনছেনই না কেউ। ক্রেতার অভাবে, ভারতীয় পেঁয়াজ পঁচে নষ্ট হচ্ছে। গুদামে ফ্যান চালিয়ে কিছুটা চালান রক্ষার চেষ্টা করছেন, আমদানিকারকরা।
আমদানিকারকরা বলছেন, ক্রেতার অভাবে ভারতীয় পেঁয়াজগুলো নর্দমায় ফেলে দেয়ার উপক্রম। চার বস্তা ৫০ টাকায় দিলেও নেয়ার মতো লোক হচ্ছে না।
ভারত থেকে ২৭ টাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ এখন হিলিতে বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়। আবার পঁচা পেয়াজের ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে, ১০০ থেকে ২০০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম কম এবং সরবরাহ বেশি থাকায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই।
ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ হয়ে যেতে পারে, সেই শঙ্কার অনেক ব্যবসায়ী আমদানির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। আর এতেই ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, ইমপোর্ট পারমিট বন্ধ হয়ে যাবে এই সুবাদে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। তবে পরে সরকার ঘোষণা করে, পারমিট বাতিল হচ্ছে না। এরপরই মার্কেটে ব্যাপক ধস নেমেছে। এখন লোকসানের ভারে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
এসজেড/
Leave a reply