জাল টাকা তৈরির কারখানায় গিয়ে অবাক গোয়েন্দা পুলিশ, ছাপা হয় ভারতীয় মুদ্রাও! (ভিডিও)

|

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে গড়ে উঠেছে জাল টাকা তৈরির কারখানা। ল্যাপটপে কমান্ড দিতেই প্রিন্টারে বেরিয়ে আসে ৫শ’ বা ১ হাজার টাকা নোট। ছাপা হয় ভারতীয় মুদ্রাও। যা চক্রের সদস্যদের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয় সারা দেশে। ঈদ সামনে রেখে তৎপরতা বেড়েছে এই চক্রের। এমনই এক কারখানায় হানা দিয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের দল। কর্মযজ্ঞ দেখে অবাক তারাও। জালিয়াত চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ জাল নোট।

রাজধানীর লালবাগের একটি ছয়তলা ভবনের ৪ তলায় ছোট্ট ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে জাল টাকার কারখানা গড়ে তুলেছেন লিটন নামের এক ব্যক্তি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে সেখানে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশের গুলশান জোনের একটি দল। ভেতরে ঢুকতেই সবার চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা। রীতিমতো আয়োজন করে চলছে জালটাকা তৈরির কাজ। আবার সেগুলো কিনতে এসেছে মাঠ পর্যায়ের বিক্রেতারাও। ৩ সহযোগীসহ হাতেনাতে ধরা হয় মূলহোতা লিটনকে।

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এই চক্রের মূলহোতা লিটন আগেও জাল টাকা তৈরির দায়ে গ্রেফতার হয়ে জেল খেটেছেন। এমনকি জেলখানায় বসেই কয়েকজনকে এ চক্রের সদস্যও বানিয়েছেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে আবারও শুরু করেছেন একই অপকর্ম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি গুলশান) ডিসি মশিউর রহমান বলেন, এখানে যারা এই কাজের সাথে জড়িত সবাই পেশাদার। তারা আগেও এই কাজ করেছেন। জেলও খেটেছেন। জেলে বসেই সমঝোতা হয়েছে তাদের। দেশবাসীকে অনুরোধ করবো, টাকা নেয়ার সময় নিরাপত্তা সুতা আছে কিনা সেটি পরীক্ষা করে দেখবেন। একটু থুতু দিয়ে হলেও ভিজিয়ে দেখবেন রং ওঠে কিনা।

দিন দিন নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে চক্রটি। ৫শ ও হাজার টাকার নোটে ধরা খাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকায় তারা জাল ১ শ টাকার নোট ও ভারতীয় রুপি তৈরি শুরু করে।

ডিএমপির (ডিবি উত্তর) যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, যেভাবে তারা জাল টাকা তৈরি করছে তাতে সাধারণ মানুষ প্রতারিত হচ্ছে। তাছাড়া যেসব ভারতীয় রুপি তৈরি করছে তা সীমান্ত দিয়ে চলে যেতে পারে। এরা কী উদ্দেশ্যে ভারতীয় রুপি তৈরি করছে তা আমরা খতিয়ে দেখবো। তাছাড়া এই টাকার গ্রাহক কারা সেটিও আমরা খুঁজে বের করবো। আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকিদেরও গ্রেফতার করা হবে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply