নওগাঁর হিজাব বিতর্ক গুজব, শিক্ষকের করা মামলায় গ্রেফতার ২

|

নওগাঁ প্রতিনিধি:

গুজব ছড়ানো, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও মানহানির অভিযোগে মামলা করেছেন নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষক আমোদিনী পাল। এরই মধ্যে মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মহাদেবপুর সার্কেল) এটিএম মাইনুল ইসলাম। গ্রেফতাররা হলেন, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসিন্দা কিউএম সাঈদ টিটো (৫৫) ও কুশার সেন্টার পাড়া এলাকার বাসিন্দা কাজী সামছুজ্জোহা মিলন (৪৫)।

এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মামলা করেন শিক্ষক আমোদিনী পাল। রাতেই মামলার এজহারভুক্ত আসামি কিউ এম সাঈদকে মহাদেবপুর উপজেলা সদরের লাইব্রেরিপট্টি এলাকার নিজ বাড়ি থেকে এবং সামসুজ্জামান মিলনকে উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক আমোদিনী পাল বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তার বিরুদ্ধে হিজাব নিয়ে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, তাকে সামাজিকভাবে হেয় করা ও বেআইনিভাবে দলবদ্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে হামলার অভিযোগ করেন। ৫ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে ওই মামলায় আসামি করেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার রাতেই অভিযান চালিয়ে দুইজনকে আটক করা হয়। পরে আমোদিনী পালের করা মামলায় এজহারভুক্ত আসামি হিসেবে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।

মহাদেবপুর থানার ওসি আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টায় কিউ এম সাঈদ ও সামসুজ্জামানকে আটক করা হয়। পরে তাদের আমোদিনী পালের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেয়া হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি হিজাব পরায় দাউল বারবাকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আমোদিনী পাল শিক্ষার্থীদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ তুলে ওই বিদ্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই হামলার ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর এ ঘটনায় প্রশাসনের করা তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গত সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে হিজাব পরায় ছাত্রীদের পেটানোর অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি তদন্ত কমিটি। স্কুলড্রেস পরে না আসার কারণে ওই দিন শিক্ষিকা আমোদিনী পাল ও আরেক শিক্ষক বদিউল আলম শিক্ষার্থীদের পিটিয়েছেন বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply