নানা চড়াই-উৎরায় পেরিয়ে অবশেষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে সভাপতি হয়েছেন যশোরের কেশবপুরের সন্তান কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। শ্রাবণের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তা সত্ত্বেও তিনি জড়িত হয়ে পড়েন ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে। এ নিয়ে পিতার সাথে তার দূরত্বও তৈরি হয়েছিল ছাত্রদলের গত সম্মেলনের আগে। এমনকি সংগঠনের মধেও বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি। রোববার (১৭ এপ্রিল) ঘোষিত কমিটিতে সভাপতির দায়িতাব পেয়ে আবারও আলোচনায় শ্রাবণ।
জানা যায়, শ্রাবণের বাবা রফিকুল ইসলাম কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান। চার ভাইয়ের মধ্যে শ্রাবণ সবার ছোট। তার বড় ভাই কাজী মুস্তাফিজুর রহমান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। মেজো ভাই কাজী মুজাহিদুল ইসলাম পান্না উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক। আর সেজো ভাই কাজী আজাহারুল ইসলাম মানিক কেশবপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক। পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের পদপ্রাপ্ত হওয়ায় তার ছাত্রদলের সভাপতি পদ পাওয়া রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল সৃষ্টি করেছে।
এর আগে, ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বরে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হলেও হেরে যান শ্রাবণ। তখন কাউন্সিলরদের ভোটে ছাত্রদলের সভাপতি হয়েছিলেন ফজলুর রহমান খোকন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে সভাপতি পদে খোকন পেয়েছিলেন ১৮৬ ভোট। আর শ্রাবণ পেয়েছিলেন ১৭৮ ভোট। সেবার শ্রাবণের প্রার্থী হওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছিল তীব্র বিতর্ক।
সে সময় অবশ্য শ্রাবণের রাজনৈতিক অবস্থানের পক্ষেই কথা বলেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, একটা গণতান্ত্রিক দেশে বাবা ও ছেলে ভিন্নমত পোষণ করতেই পারেন। দেশে বর্তমানে এমন অবস্থা যে, ভিন্নমত পোষণ করা যায় না। সেই সময় নিজের প্রসঙ্গও টেনে এনেছিলেন মির্জা ফখরুল। বলেছিলেন, আমি আর আমার বাবাও ভিন্নমতের রাজনীতি করতাম। সেটি নিয়ে কখনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু বর্তমানে দেশে ভিন্নমতের রাজনীতি করলে বিপদে পড়তে হয়।
জেডআই
Leave a reply