সুইডেনে পরিকল্পিতভাবে পবিত্র কোরআন শরীফ পোড়ানোকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ-সংঘাতে উত্তাল অবস্থায় রয়েছে বিভিন্ন শহর। এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ১৭ জন। খবর বিবিসির।
দেশটিতে এ ইস্যুতে ৪র্থ দিনে গড়িয়েছে সহিংসতা। স্ট্রাম কার্স ও হার্ডলাইন মুভমেন্টের কর্ণধার, ডেনিশ-সুইডিশ কট্টর ডানপন্থী রাসমুস পালুদান স্বীকার করেন, তিনি জ্বালিয়েছেন মুসলিমদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এ ব্যাপারে তার কোনো অনুশোচনা নেই এবং ভবিষ্যতে কাজটি আবারও করবেন, এমন হুমকিও দেন তিনি। ধর্মবিদ্বেষ এবং বর্ণবাদ ছড়ানোর অভিযোগে এক মাস কারাভোগও করেছেন তিনি।
এ ঘটনায়, মুহূর্তেই গোটা সুইডেনে ছড়ায় উত্তেজনা। পরিকল্পিতভাবে কোরান পোড়ানোর ঘটনা ঘটে নরকোপিং এবং মালমো শহরে, আর এই দুই অঞ্চলেই দাঙ্গা পুলিশের সাথে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘাত হয়। বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে বিক্ষোভকারীরা। গত বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবারের সংঘাতে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৬ পুলিশ সদস্য, ভাঙচুর করা হয়েছে বেশ কিছু গাড়ি। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে, সুইডিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছে ইরাক ও ইরান।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে এসেছে, রোববার (১৭ এপ্রিল) নরকোপিং শহরে আরও একটি র্যালি করার ঘোষণা দিয়েছেন রাসমুস পালুদান। বিক্ষোভ-সংঘাতের প্রতিবাদে কোরান পোড়ানোর সমর্থনে আরও বড় সমাবেশ করতে চান এই কট্টর ডানপন্থী, এমনটিই বলা হয়েছে সে প্রতিবেদনে।
বিক্ষোভকারীরা পুলিশের উপস্থিতিকে পাত্তাই দেয়নি। শনিবার (১৬ এপ্রিল) একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়ে সুইডেন ন্যাশনাল পুলিশ চিফ অ্যান্ডার্স থর্নবার্গ বলেন, এর আগেও সহিংস দাঙ্গা দেখেছি আমরা। কিন্তু, এটা অন্য কিছু।
আরও পড়ুন: ঝড়ে উড়ে আসা টিনে মাথা আলাদা যুবকের!
এম ই/
Leave a reply