ফরিদপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় আ. লীগ নেতাসহ আটক ১০; ঘটনার সূত্রপাত গুজবে

|

ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে আবারও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ভাঙচুর করা হয়েছে উভয় গ্রুপের অন্তত ১৯টি বসতঘর। এ ঘটনায় আরও ১০ জন আহত হলে তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার যদুনন্দী ইউনিয়নে এই সংঘর্ষ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ বৃহস্পতিবার সারাদিন অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রকিফ মোল্যা এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়াসহ ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয় একাধিক গ্রামবাসী জানান- যদুনন্দী ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে গত ১০ এপ্রিল আমিনুল মিয়া নামে এক ভ্যানচালক হত্যার গুজব রটিয়ে প্রতিপক্ষের অন্তত ১৪টি বাড়ি ও একটি ইট ভাটায় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার জের ধরে খারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা যদুনন্দী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা সমর্থকদের সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর মিয়ার সমর্থকদের উত্তেজনা চলছিল।

এরই জের ধরে বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। রাত ১০টা পর্যন্ত তা চলে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের আরও অন্তত ১০ জন আহত হলে তাদের ফরিদপুর শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বোয়ালমালী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে নজরুল খান (৪৫) নামে এক ব্যক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।

সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শেখ সাদীক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কয়েক দফায় শর্টগানের ৩২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় গ্রুপের দলনেতা ইউপি চেয়ারম্যান রফিক মোল্যা ও আ. লীগ নেতা মো. আলমগীর মিয়াসহ ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় এখন অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply