নারী ঘরের কাজ করবে আর পুরুষকে নিতে হবে বাইরের কাজের ভার; পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অন্যান্য জায়গার মতো খুলনা-সাতক্ষীরা অঞ্চলেও এই চিত্র হরহামেশাই দেখা যায়। তবে সমাজের প্রথাগত ধারণা ভেঙে দিয়ে সব কাজে নারী-পুরুষের অংশগ্রহণ আর সমঅধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে একটি বেসরকারি সংস্থা।
তিন সন্তানের জনক সুবাস দাস সময় পেলেই ঘরের কাজে স্ত্রী অঞ্জলিকে সহায়তা করেন। এতে গৃহস্থালী কাজে যেমন সুবিধা হয়েছে, তেমনি বাড়তি আয়েও ভূমিকা রাখছেন তার স্ত্রী। সাত বছর আগে ওয়ার্ল্ড ভিশনের নবযাত্রা প্রকল্পের সহায়কদের কাছে শিখেছেন কীভাবে পারিবারিক জীবন সুন্দর ও সুখি পরিবার হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
উঠান বৈঠকের মাধ্যমে ৯ হাজার দম্পতিকে শেখানো হয়েছে ঘরের কাজে নারী পুরুষের অংশগ্রহণ আর পারস্পরিক সহায়তায় সুখি পরিবার গঠনের গল্প। ‘ঘরের কাজ কেবলই নারীর’ প্রথাগত ধারণাটি বদলাতে কাজ শুরু করে প্রকল্পটি। সংসার পরিচালনা এবং উপার্জনক্ষম পুরুষের সাথে নারীও যেন অবদান রাখতে পারে সে বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হয়। স্বামী-স্ত্রীর পাশাপাশি বৈঠকে শ্বশুর-শাশুড়ি ও গ্রামের গণমাণ্যরাও অংশ নেন। ফলে পরিবারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীর অংশগ্রহণের পাশাপাশি অগ্রগতি হয়েছে মাতৃ ও শিশুস্বাস্থ্য এবং পুষ্টি পরিস্থিতির।
ছোট খাটো বিষয়ে স্ত্রীর গায়ে হাত তুলতেন ভ্যান চালক রামপ্রসাদ। পরিবারে লেগেই থাকতো অশান্তি। সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতেন তিনি। উঠান বৈঠকের মাধ্যমে পরিবর্তন ঘটেছে তার। এখন সময় পেলে স্ত্রীকে বিভিন্ন কাজে সহায়তা করেন রামপ্রসাদও।
২০১৫ সাল থেকে ‘ম্যান কেয়ার’ অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে খুলনার দাকোপ, কয়রা এবং সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে প্রকল্পটি।
/এডব্লিউ
Leave a reply