টেলিযোগাযোগ খাতের স্তরভিত্তিক সেবাদান প্রক্রিয়া বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর, বন্ধ করা হচ্ছে আইজিডব্লিউ, আইসিএক্স, আইআইজি, নিক্স অপারেটরদের কার্যক্রম। পরিচালন ব্যয় কমিয়ে আনার পাশাপাশি গ্রাহকদের অতিরিক্ত খরচের বোঝা থেকে রেহাই দিতে, বিটিআরসি’র এই পরিকল্পনা। এতে করে সেবার মান বৃদ্ধি করা যাবে বলে মনে করছে, মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
মাত্রাতিরিক্ত লাইসেন্স আর মধ্যসত্ত্বভোগী কোম্পানির ভারে জর্জরিত টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট খাত। ইকো সিস্টেমের স্তরে স্তরে অবস্থান এসব প্রতিষ্ঠানের। গ্রাহক সেবায় নেই জরুরি কোন সম্পৃক্ততা। অথচ বছরের পর বছর এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে, মোটা অংকের অর্থ গুণতে হচ্ছে ষোল কোটি গ্রাহককে। এখানেই শেষ নয়। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পৃক্ততায়, সেবার মান তলানিতে নামছে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, একটি প্রতিষ্ঠান যে সেবা দিতে পারতো সেটি স্তর করে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে। এই লেয়ার কমিয়ে আনলে মধ্যসত্ত্বভোগীর দৌরাত্বটা কমবে এবং তাদের পকেটে যে টাকা যেতো সেই অর্থ জনগণের পকেটে থাকবে।
২০০৭ সালে এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি। এর আওতায় দফায় দফায় টেলিকম খাতের মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে চিহ্নিত ডজন প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া হয়। চলতি মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এসব প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স আর নবায়ন করা হবে না।
লাইসেন্সধারী মধ্যসত্ত্বভোগী এসব প্রতিষ্ঠানকে টিকিয়ে রাখতেই মোবাইল অপারেটরদের উপর আরও বেশি নির্ভরশীল করে তোলা হয়েছে। আর ওইসব প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশ নিশ্চিত করতে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ২০ শতাংশ অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার কথা জানান মোবাইল ফোন অপারেটররা। বিশ্বের আর কোনো দেশেই এতো বেশি স্তর বিশিষ্ট টেলিযোগাযোগ লাইসেন্সিং ব্যবস্থা নেই। তাই এখন স্তর ভিত্তিক কাঠামো তুলে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বিটিআরসি।
এসজেড/
Leave a reply