বাঁধ ভেঙে ফসলি জমিতে উপচে পড়ে রাশি রাশি পানি, ঈদে কেমন আছেন সেসব কৃষকরা?

|

পানির নিচ থেকে কেটে আনা ফসলও এখন পঁচে যাচ্ছে।

ঈদের আনন্দ নেই হাওরে ফসল হারানো কৃষকের ঘরে। ডুবেছে ঢলের পানিতে বছরের একমাত্র বোরো ফসল, কেনা হয়নি শিশুদের জন্যেও নতুন পোশাক। স্বপ্ন পূরণের কথা দিয়েও কথা রাখতে পারেননি কৃষক বাবা। ঈদ দূরে থাক, ঘরে ঘরে যেনো একবেলা ভরপেট খাবার পাওয়ার আর্তনাদ।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার কৃষক সুনু মিয়া। আবাদ করেছিলেন অন্যের ৪০ কেদার জমি। তবে আইডরা বিলের বাঁধ ভেঙ্গে তলিয়ে গেছে তার সব ধান। ডুব দিয়ে যা তোলা গেছে তার সবই পঁচে গেছে। তবুও রোদে শুকিয়ে ফসলরক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা তার।

সুনু মিয়ার তিন সন্তান। হাওরের মাঝেই ছোট্ট ঘরে বাস। ধান বেচে সন্তানদের জন্য ঈদের পোশাক কেনার কথা। যা এখন কেবল-ই হতাশা। সব হারানো সুনুকে দিতে হবে মহাজনের ঋণ। এনজিও থেকেও চাপ আছে টাকা পরিশোধের। তাই দিশেহারা তিনি। ঘরে মজুতকৃত খাবার হয়তো চলবে, মাত্র একবেলা। ঈদে বাড়তি আয়োজনের উপায় নেই।

জেলা প্রশাসক জানালেন, হাওরে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তায় কাজ করছে সরকার। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ঈদ সামনে রেখে ইতোমধ্যেই ১০ লাখ নগদ টাকা, ২২০ মেট্রিকটন চাল এবং ৬ হাজার ব্যাগ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। খুব শিগগিরই ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার, এমনই আশ্বাস তার।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply