ম্যানুস্ক্রিপ্ট রাইটিং ক্যাফে: খাবার খেতে করতে হবে লেখালেখি

|

এমিকো সাসাকি, পেশায় গীতিকার। করেন ব্লগিংও। লেখালেখির কাজ সারতে তার পছন্দের জায়গা ম্যানুস্ক্রিপ্ট রাইটিং ক্যাফে। জাপানের টোকিওতে ক্যাফেটির অবস্থান।

শুধু এমিকো সাসাকি নন, যারা লেখালেখি করেন; তাদের অনেকেরই পছন্দের স্থান হয়ে উঠছে ম্যানুস্ক্রিপ্ট রাইটিং ক্যাফে। এর কারণ, ক্যাফেটিতে বসে কাটানো যাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। উঠে যাওয়ার কথা বলবে না মালিকপক্ষ। তবে শর্ত একটাই, খাওয়ার পাশাপাশি সেখানে বসে করতে হবে লেখালেখির কাজ। ব্যতিক্রমী এই ক্যাফে দেশটির টোকিও শহরে সম্প্রতি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রতিদিনই সেখানে লেখালেখির কাজ সারতে ভিড় করছেন অনেক লেখক।

রেস্টুরেন্ট বা ক্যাফের মতো জনসমাগমপূর্ণ জায়গায় বসে লেখালেখির কথা হয়ত কল্পনাতেও আসেনা অনেকের। কিন্তু এ চিন্তার জায়গায় যেন কিছুটা হলেও পরিবর্তন এনেছে ম্যানুস্ক্রিপ্ট রাইটিং ক্যাফে।

এমিকো সাসাকি বলেন, ব্লগ লিখছি এখন। এখানে বসে আজ তিনটি ব্লগ লিখবো। ৮০ শতাংশ কাজ শেষও করে ফেলেছি। ক্যাফেতে বসে নির্ঝঞ্ঝাটে কাজ করতে পারার ধারণাটা আসলেই অসাধারণ।

ক্যাফেতে বসে লেখালেখির ক্ষেত্রে রয়েছে বেশ কিছু কঠোর নিয়ম। প্রথমে ঢুকেই লেখালেখির বিষয়বস্তু ও কতক্ষণ সময় তিনি বসবেন, তা উল্লেখ করতে হবে কর্তৃপক্ষকে। প্রতি ঘণ্টায় ক্যাফের কর্মীরা পর্যবেক্ষণ করবেন কাজের অগ্রগতি।

ক্যাফেটির মালিক তাকুয়া কাওয়াই বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছুদিন আগে আমাদের ক্যাফেটি ভাইরাল হয়। অনেকেই কাস্টমারদের পর্যবেক্ষণ করার বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছেন। কিন্তু তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, কে কি লিখছে সেটা নজরদারি করি না। বরং সবাই যাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে পারে, সেজন্যই এই চেষ্টা।

ম্যানুস্ক্রিপ্ট রাইটিং ক্যাফেতে বসে লেখালেখি করতে প্রথম আধা ঘণ্টায় গুনতে হয় ১ ডলার। পরবর্তী ঘণ্টা প্রতি দিতে হয় আড়াই ডলারের কাছাকাছি।

সূত্র: নিউজ১৮

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply