মৃত্যুফাঁদ বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়ক, নেই হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা

|

ফাইল ছবি

নাটোর প্রতিনিধি:

অনিয়ন্ত্রিত গতি, ওভার টেকিং ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকের কারণে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কটি মৃত্যুফাঁদ হিসাবে পরিচিতি পেয়েছে। সবশেষ গত শনিবার দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হন নারী-শিশুসহ ৭ জন। এলাকাবাসীসহ এই পথে যাতায়াতকারী যাত্রী ও চালকরা বলছেন, প্রতিনিয়ত মৃত্যুর মিছিলে বহু প্রাণ যুক্ত হলেও তা প্রতিরোধে স্থানীয় হাইওয়ে পুলিশের কোনো তৎপরতা নেই।

শনিবার (৭ মে) এই মহাসড়কেই দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে; মুহুর্তেই ৭ জনের প্রাণহানি ঘটে, আহত হন অনেকে। এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানে বারবারই উঠে এসেছে, অনিয়ন্ত্রিত গতি আর ওভারটেকিংয়ের কথা। স্থানীয়রা বলছেন, এই টার্নিংয়ে বেপরোয়া গতির ওভারটেকিংয়ের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।

দুর্ঘটনার পরদিনও নেই কোনো পরিবর্তন। অনিয়ন্ত্রিত গতি আর ওভারটেকিংয়ের দৃশ্য ধরা পড়লো এ মহাসড়কের সবখানেই, একই অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকগুলোতেও। মহাসড়কে যানবাহন দাঁড় করিয়ে রাখা সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলেও, সেই চিত্রও উঠে আসে যমুনার ক্যামেরায়। যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের তৎপরতা চোখেই পড়ে না বলে অভিযোগ অনেকের।

স্থানীয়দের অভিযোগ, হাইওয়েটি সংকীর্ণ আর এ রাস্তায় গাড়িও চলে অনেক। দুর্ঘটনা এড়াতে রাস্তাগুলো সম্প্রসারণ করা খুবই জরুরি। আর এই মহাসড়কে যে পুলিশ সদস্যদের থাকার কথা তাদেরকে আমরা কখনও চোখে দেখি না।

সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে এই মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের তেমন কোনো তৎপরতা নেই কেনো? ঊর্ধ্বতনদের অনুমতি না মেলার অজুহাতে, এ ব্যাপারে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি বনপাড়া হাইওয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা।

তবে হাইওয়ে পুলিশের বগুড়া অঞ্চলের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তা জানালেন, মহাসড়কে দূর্ঘটনা এড়াতে সকল ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ সুপার (বগুড়া অঞ্চল) মুনশী শাহাবুদ্দীন বলেন, পরিবহন মালিকদের সচেতন করতে আমরা বিভিন্ন সময় তাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং করছি।

২০১৪ সালে মহাসড়কের রেজুর মোড়ে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ যায় ৩৮ জনের। সেই দূর্ঘটনা পর বাসের বেপরোয়া গতি, ওভারটেকিং রোধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক সম্প্রসারণে ১৭টি সুপারিশ করে তদন্ত কমিটি। দীর্ঘ ৭ বছরেও সেই সুপারিশগুলো দেখেনি আলোর মুখ।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply