স্বেচ্ছামৃত্যুর আগের ঘণ্টাগুলো আনন্দমুখর কাটাচ্ছেন বিজ্ঞানী গুডঅল

|

আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই সুইজারল্যান্ডে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করবেন অস্ট্রেলীয় উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ডেভিড গুডঅল। মৃত্যুর আগের ঘণ্টাগুলো বেশ আনন্দমুখর কাটাচ্ছেন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করা এই বৃদ্ধ। কীভাবে কাটছে গুডঅলের জীবনের শেষ মুহূর্তগুলো?

গুডঅল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি মারা যাওয়ার সময় বেটোফেনের ‘ওডে টু জয়’ সংগীতটি শুনতে পছন্দ করবেন। এ সময় গুনগুন করে গেয়ে ওঠেন। সুস্থ শরীরে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে থাকা গুডঅল শেষ সময়ে কাছে পাচ্ছেন তার নাতিদের। নাতিদের বান্ধবীরাও এসেছেন গুডঅলের অগস্ত্যযাত্রার সাক্ষী হতে।

এর আগে, বুধবার একটি এয়ারলাইন্সের বিজনেস ক্লাস ফ্লাইটে করে সুইজারল্যান্ডের বেসেলে পৌঁছান ১০৪ বছর বয়সী ডেভিড গুডঅল। এক সংবাদ সম্মেলনে এই অকুতোভয় বিজ্ঞানী জানান, আমি যেতে প্রস্তুত। সম্ভবত কোনো প্রাণঘাতী ইনজেকশন পুশ করে আমার মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে। বিষয়টি আমি ডাক্তারদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছি।

আজও দিনভর নাতি-নাতনিদের সাথে বেসেল ইউনিভার্সিটির বোটানিক্যাল গার্ডেনে ঘুরে বেড়ান গুডঅল। দাদার মৃত্যুশয্যার পাশে থাকতে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট থেকে ছুটে আসা নাতি ডানকান গণমাধ্যমকে জানান, তিনি খুবই সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি জানি না সে সময় আমার কেমন অনভূতি হবে। তবে, যুক্তিসঙ্গত কারণে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি এটিকে সম্মান জানাই।’

স্বেচ্ছামৃত্যুর নিশ্চিত করতে সুইজারল্যান্ডের ক্লিনিকটিকে ৮ হাজার ডলার বিল নিচ্ছে। অবশ্য, গুডঅলের স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য ইতিমধ্যে ১০ হাজার ডলারের ফান্ড গঠন করেছে স্বেচ্ছামৃত্যুর সমর্থনে কাজ করা সংস্থাগুলো।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply