বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত ১০০টি দোকান

|

বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই অন্তত ১০০টি দোকান।

বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই গেছে প্রায় ১০০টি দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আশেপাশের আরও অন্তত ২০ টি দোকান। 

মঙ্গলবার (১৭ মে) রাত সাড়ে এগারোটার দিকে বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটে এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট। 

রাত তখন সাড়ে এগারোটা ব্যবসায়ীরা সারাদিন দোকানদারি করে দোকান আটকে চলে গেছেন বাড়িতে। বরগুনা পৌরসভার মার্কেটের পশ্চিম দিকে জাল, দড়ির দোকান ও পাশেই গার্মেন্টসের একটি দোকানে আগুন দেখতে পান প্রত্যক্ষদর্শীরা। দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের লেলিহান শিখা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে চারপাশের অন্যান্য দোকানেও।

মঙ্গলবার রাতে বরগুনার পৌর সুপার মার্কেটে এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে প্রায় ১০০ টি দোকান। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও অন্তত ২০টি দোকান। অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত দোকানগুলোর মধ্যে গার্মেন্টস, প্রসাধনী ও জাল-সুতার দোকানসহ বিভিন্ন ধরনের ছোট, বড় ও মাঝারি দোকান রয়েছে।

জানা গেছে, বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। এক একটি দোকানে আট লাখ থেকে শুরু করে বিশ-পঁচিশ লক্ষ টাকার পণ্য ছিল দোকানগুলোতে। এমন ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিঃস্ব হয়ে গেছেন সেসব ব্যবসায়ীরা। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে এ অগ্নিকাণ্ডে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে বরগুনা বাজারে দেখা গেছে বেশ কিছু অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। কিন্তু অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা অনেক কম। তাই বরগুনার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে গ্রেড বি থেকে গ্রেড এ’তে উন্নিত করার দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের।

জানা গেছে, আগুন লাগার খবর পেয়ে সাথে সাথে প্রথমে বরগুনার ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এসে আগুন নিভাতে চেষ্টা চালায়। পরে খবর পেয়ে বেতাগী, আমতলী, পাথরঘাটা ও পটুয়াখালীর মোট আটটি ইউনিট প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তদন্ত সাপেক্ষে এই ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ ও অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ জানা যাবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply