সরকার পরিচালনায় প্রয়োজনে জনগণের পাশে থাকবে সেনাবাহিনী

|

রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রয়োজন পড়লেই সেনাবাহিনী জনগণের পাশে দাঁড়াবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বাহিনীকে সার্বভৌমত্বের প্রতীক উল্লেখ করে দেশের সুনাম বিশ্ব দরবারে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বানও জানান তিনি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে বলেও জানান সরকার প্রধান।

রোববার সকালে ঢাকা সেনানিবাসে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। এদিন বিভিন্ন সেনানিবাসের ২৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।

সেনাবাহিনীর সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার ১০ বছরের ছোট ভাই, বড় হয়ে সে কী করতে চায়- এ প্রশ্নের জবাবে বলত, সেনাবাহিনীতে চাকরি করবে

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেনাসদস্যদের জন্য কল্যাণমুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। রসদ বাড়ানোর পাশাপাশি ভাতা বাড়িয়েছি। তাদের জন্য আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছি। প্রথমবারের মতো আমরা সেনাবাহিনী প্যারাকমান্ডো ইউনিট চালু করেছি। ‘৯৬ সালে মেয়েদের সেনা ও বিমানবাহিনীতে নিয়োগের ব্যবস্থা করি। নারী পাইলট সংযোজন করে নতুন যুগের সূচনা করি। সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণের জন্য কেন্দ্র করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, সেনাসদস্যদের জন্য দুপুরে রুটির পরিবর্তে ভাতের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। ‘৯৬ সালে সরকার গঠনের পর সেনাবাহিনীর কাছে তাদের দাবি-দাওয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। তারা বলেছিলেন, আমাদের দুপুরে রুটি দেয়া হয়, আমরা ভাত খেতে চাই। ওই সময় দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। আমি কথা দিয়েছিলাম- তাদের জন্য ভাতের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমি ভাত খাব না। আমি ভাত খাইনি। তাদের জন্য ভাতের ব্যবস্থা করার পর আমি তাদের সঙ্গে বসে দুপুরের ভাত খেয়েছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, সেনাসদস্যের জন্য দুই লাখ টাকার দুস্থ ভাতা ৬ লাখ টাকা করে দিয়েছি। এলপিআরের মেয়াদ ছয় মাসের পরিবর্তে এক বছর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর জেসিও পদকে দ্বিতীয় থেকে প্রথম শ্রেণির করা হয়েছে। সার্জেন্টকে তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছি।

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট-১ প্রেরণের মাধ্যমে জল, স্থলসহ আকাশে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply