বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে লাগা আগুনে উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়া ৯ জন ফায়ার সার্ভিসকর্মীসহ ৪৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া চার শতাধিকের বেশি হয়েছেন দগ্ধ ও আহত।
চট্টগ্রাম থেকে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে রোববার (৫ জুন) সকালে আসে ৩ জন দগ্ধ রোগী। দুপুরের দিকে যোগ হয় আরও তিনজন। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে আসা ৭ জনসহ বার্ন ইউনিটের এ মূহূর্তে রোগী ভর্তি হয়েছেন মোট ১৪ জন। হাসপাতালের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক। সবার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের ব্যাপারেও খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। যে কোনো প্রয়োজনে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউট প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার দুপুরে দগ্ধ রোগীদের দেখতে আসেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম। এ সময় নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রী সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর রাখছেন। রোগীদের যা কিছু প্রয়োজন, সবকিছু প্রস্তুত আছে। হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানান নানক। তিনি বলেন, চিকিৎসার যেন কোনোরকম ত্রুটি না হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন দগ্ধ ব্যক্তিদের দেখতে আসেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত রয়েছে তাদের সংগঠন। এছাড়াও বার্ন ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও ঢাকা মেডিকেল ছাত্রলীগের সদস্যরা রোগীদের সার্বিক সহযোগিতার জন্য বুথ স্থাপন করেছে।
আরও পড়ুন: ‘মোবাইলে কল ঢোকে, কিন্তু আমার ভাই ধরে না’
/এম ই
Leave a reply