কাঞ্চন, রিক্সাচালক। সংসদে যে সময় অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করছিলেন, সে সময় জীবিকার তাগিদে বৃষ্টিতেও থেমে নেই তার রিক্সার প্যাডেল। নিত্যপণ্যের অসহনীয় বাজারে রিক্সাচালক কাঞ্চনকে ৫ সদস্যের সংসার চালাতে ছুটতে হয়েছে যাত্রী নিয়ে।
একই অবস্থায় ভ্যানচালক দেলোয়ারের। ৪০ বছর ধরে থাকেন রাজধানীর পরিবাগের নালির পারের ফুটপাতে। বলছেন, বাজেট তাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন না। জিনিসপত্রের দামে দু’বেলা পেট পুরে খেতে হিমশিত খেতে হচ্ছে তাদের।
শুধু দেলোয়ার কিংবা কাঞ্চনের মতো অতি দরিদ্ররাই না, নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে বড় সংকটে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তরাও।

এমন সময় প্রস্তাবিত বাজেটকে সরকার পক্ষ বলছে জনবান্ধব। আর বিরোধী পক্ষের কাছে তা গরীব মারার বাজেট। তবে, দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষ রাজনীতির এতো মারপ্যাচ বোঝেন না। তারা বলছেন, জিনিসপত্রের দামে এমনিতে তাদের নাভিশ্বাস অবস্থা। বাজেটের কারণে তা যেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ না হয়। নিয়ন্ত্রণে আসে দাম, এই আকুতি সাধারণ মানুষের। তাই প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।
অবৈধ সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার পাশাাপাশি সাধারণ মানুষের দাবি বাজার মনিটরিংয়ের।
/এমএন
Leave a reply