ছবিতে ডানপাশে সুমন শিকদার মুসা।
গত ২৪ মার্চ রাজধানীর শাহাজাহানপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজছাত্রী সাদিয়া আফনান প্রীতিকে। এ ঘটনায় মামলা হলে মাঠে নামে পুলিশ ও র্যাব। নিবিড় তদন্তে বেরিয়ে আসে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের নাম।
টিপু হত্যার পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে সুমন শিকদার মুসা। একথা জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান এ কে এম হাফিজ আক্তার। শুক্রবার (১০ জুন) দুপুরে ডিএমপি’র মিডিয়া সেন্টারে কিলার মুসাকে গ্রেফতারের বিষয়ে ব্রিফ করেন তিনি। জানান, হত্যাকাণ্ডের কারণ জানতে ১৫ দিনের রিমান্ড চাইবে ডিবি। অপর সন্দেহভাজন মোল্লা শামীমকে গ্রেফতারেও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান হাফিজ আক্তার।
হাফিজ আক্তার বলেন, এই মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে আমরা একসময় হিমশিম খেয়ে যাচ্ছিলাম। বিদেশে থাকা অবস্থায় তাকে যদি না পাওয়া যায় তাহলে পরবর্তী কার্যক্রম আমরা করতে পারবো না। যেহেতু এই মামলাটি ৩০২, ৩২৬, ৩৩৪ ধারার একটি মামলা। এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছি। এদের মধ্যে কার দায় আছে কার দায় নেই, কাকে ইনক্লুড বা এক্সক্লুড করা হবে সেটি মুসাকে রিমান্ডে নিলেই বেরিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা পদত্যাগ করলে ক্ষমতা কাকে দেয়া হবে? বিএনপিকে প্রশ্ন কাদেরের
প্রসঙ্গত, মুসার বিরুদ্ধে রাজধানীর মতিঝিল ও পল্লবী থানাসহ বিভিন্ন থানায় হত্যা ও অস্ত্র মামলাসহ ১২-১৩টি মামলা রয়েছে। ওমানে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার দেশে ফিরিয়ে আনা হয় তাকে।
জেডআই/
Leave a reply