ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে সালিশে ডেকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে এক নারীকে মারপিট করে তার মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলায় বৈরচুনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমুর বিরূদ্ধে। এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সঠিক বিচার চেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভূক্তভোগী। তবে অভিযোগের কথা অস্বীকার করছেন চেয়ারম্যান হিমু। এদিকে তদন্ত করে সঠিক বিচারের আশ্বাস দিয়েছে থানা পুলিশ।
জানা গেছে, রোববার (১২ জুন) রাত ১০টায় চেয়ারম্যানের কাছে ভূক্তভোগীর নামে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে- এ কথা বলে ভূক্তভোগীকে গ্রাম্য সালিশ বৈঠকের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় শালিস বৈঠকের নাম করে চেয়ারম্যান হিমুসহ তার সাথে থাকা কয়েকজন ভূক্তভোগীকে মারপিট করে তার মাথার চুল কেটে দেয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবড়ি না করার জন্য ভুক্তভোগীকেকে হুমকিও দেন চেয়ারম্যান হিমু।
মারপিটের পর ভূক্তভোগী অসুস্থ হয়ে পড়লে বুধবার (১৫ জুন) তাকে পীরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভূক্তভোগী। বুধবার রাতেই চেয়ারম্যান সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিত নারী।
এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী। ইউপি চেয়ারম্যান টেলিনা সরকার হিমু জানান, ওই নারী এলাকার পরিবেশ খারাপ করছিল, এজন্য এলাকার লোকেরা এমনটা করেছে। এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই। এ ঘটনায় আমাকে জড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।
/এসএইচ
Leave a reply