সোলেইমানিকে হত্যার পেছনের কারণ জানালেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

|

ছবি: সংগৃহীত

৫০০ আমেরিকান নাগরিককে হত্যার ষড়যন্ত্র থামাতেই ইরানের অভিজাত কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করেরছেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। খবর তুর্কি গণমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির।

শুক্রবার (১৮ জুন) আল আরাবিয়ার সাথে এক সাক্ষাৎকারে পম্পেও বলেন, জেনারেল সোলেইমানি আরও ৫০০ আমেরিকানকে হত্যার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। তার সেই ষড়যন্ত্রটি ভেঙে ফেলার সুযোগ আমাদের ছিল এবং আমরা তা করেছি।

সোলেইমানিকে হত্যার পেছনের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রকম সতর্কবার্তা ছিল যে- ২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্ব পরাশক্তিদের মধ্যে হওঅ পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র যদি নিজেকে সরিয়ে নেয় তাহলে যুদ্ধ হবে। ইসরায়েল তার দূতাবাস যদি তেল আবিব থেকে সরিয়ে নেয় তাহলে সেখানে যুদ্ধ হবে। এমন সতর্কবাণীও ছিল যদি জেনারেল সোলেইমানির ওপর হামলা চালানো হয় তাহলে যুদ্ধ হবে।

পম্পেও বলেন, আমরা ‌এই সতর্কবাণীর মধ্যে একটি বা দুটি বাস্তবায়ন করিনি। আমরা সেই তিনটি জিনিসের প্রত্যেকটি করেছি এবং কোনো যুদ্ধ হয়নি।

পম্পেও বলেন, ইরান এমন এক ‘ধর্মশাসক’ দ্বারা পরিচালিত যারা ইসরায়েল ও আমেরিকার ধ্বংস চায়। এ সময় ২০১৫ সালে ইরানের সাথে হওয়া পরমাণু চুক্তিতে ফিরে আসার বাইডেন প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেন। যেটা থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে বেরিয়ে গিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি ইরাকের বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। এ সময় আরও নিহত হন ইরাকের হাশদ আশ-শাবির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড আবু মাহদী আল-মুহান্দিসও।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply