মাত্র ১৭ বছর বয়সেই রপ্ত করেছে চুরির কৌশল! মোটরসাইকেল চুরিতে তার দক্ষতায় বিস্মিত পুলিশও। লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড। প্রতিটি চুরি বাবদ পায় ৫ হাজার টাকা। রং আর নম্বর পাল্টে সেটি বিক্রি করে চক্রের অন্যরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চট্টগ্রামে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে গুরু-শিষ্যসহ চক্রের ৩ জন।
দিনভর চট্টগ্রামের বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল কিংবা হাসপাতালের পার্কিং ঘুরে পছন্দের মোটর সাইকেল খুঁজে বের করাই তার কাজ। বয়স কম, দেখতেও হাবাগোবা প্রকৃতির বলে সন্দেহ করতো না কেউ। এ দুই সুবিধা কাজে লাগিয়ে পার্কিংয়ে থাকা সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেলটি নিয়ে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই হাওয়া হয়ে যেতো কিশোর চোর শ্রবণ। গেল ৭ জুন থেকে ১০ জুন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো পার্কিং থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেছে সে।
সিএমপি বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির যমুনা নিউজকে জানান, তারা সময় সুযোগ বুঝে বাইকগুলো চুরি করতো। খুব কম সময়ের মধ্যে রং ও নম্বর পরিবর্তনেও তারা বেশ দক্ষ।
তিনি আরও জানান, ধরা পড়া কিশোরের কাজ চুরি করা পর্যন্তই। এ কাজে সে পায় মাত্র ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা। চুরি করা মোটরসাইকেল তুলে দেয় চক্রের মূল হোতা সাজ্জাদের হাতে। পটিয়ায় নিজের গ্যারেজে কয়েক মিনিটে রং, চেসিস, নম্বর প্লেট পাল্টে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন তিনি।
এই চক্রের শ্রবণ, সাজ্জাদসহ চট্টগ্রামের বন্দর থানা পুলিশের জালে ধরা পড়েছে তিন জন। পুলিশ বলছে, শিশুদের দিয়ে মোটরসাইকেল চুরির এই আইডিয়া সাজ্জাদের। চুরিতে দক্ষ করে তোলার কাজটিও করেন তিনি।
সিএমপির এডিসি (বন্দর জোন) আবুল কালাম শাহীদ জানান, চেক পোস্টে একটি কিশোরকে আটক করা হয়। আগেই তার চুরি নিয়ে ভিডিও ভাইরাল ছিল। ভিডিওর কারণে চেক পোস্টে তাকে আমরা তাকে চিনে ফেলে আটক করি।
এটিএম/
Leave a reply