নুহা ও আরিয়ান; দু’জনেই শিশু। তাদের ঠাঁই হয়েছে সুনামগঞ্জের নির্মাণাধীন একটি ভবনে। গতকাল সোমবার আশ্রয়কেন্দ্রে তাদের দেখা মেলে। সে সময় সামনে একমুঠো মুড়ি নিয়ে নাড়াচাড়া করছে এ দু’জন। এ দুই শিশুসহ নির্মাণাধীন ওই ভবনে আশ্রয় নেয়া মানুষজন তার আগের দুইদিন ভাতের মুখ দেখেনি।
প্রাণে বাঁচলেও স্বস্তিতে নেই আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া মানুষজন। বিশুদ্ধ পানি আর খাবার সংকটে দিনদিন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে তাদের জীবন। শিশুদের দুর্ভোগও অবর্ণনীয়। একটু সহায়তার আশায় তাকিয়ে বানভাসিরা।
এদিকে, এখনও ঘরে ফেরার কোনো উপায় নেই তাদের। চারপাশের ঘরবাড়ি-রাস্তাঘাট সব ডুবে আছে বন্যার পানিতে। ঘরের চালার ওপর দিয়ে বইছে পানি। আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়া কিশোর-কিশোরী থেকে বৃদ্ধের মত, নিরাপদ পানি আর খাদ্যের তীব্র অভাবে তাদের সবার অবস্থা শোচনীয়৷
ভয়াবহ দুর্যোগের এই সময়ে কোনো ধরনের সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ বন্যার্ত এই মানুষগুলোর কণ্ঠে। এখনই সহযোগিতা না পেলে বড় ধরনের বিপর্যয়ের শঙ্কা অনেকের।
/এমএন
Leave a reply