বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যে। এখন পর্যন্ত মোট প্রাণহানি ঘটেছে ১৩১ জনের। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
গত রোববারও (১৯ জুন) নতুনভাবে ১১ জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদেরমধ্যে রয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। নিখোঁজ আরও সাতজন। বন্যা-ভূমিধসে ভোগান্তিতে রাজ্যগুলোর ৪৭ লাখের বেশি মানুষ। যাদের ২৩ লাখ আশ্রয় নিয়েছেন ১ হাজার ৪২৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে।
বন্যার কারণে আসামের রাজধানীর সাথে হাফলং এলাকার ট্রেন চলাচল আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তাছাড়া, প্রতিদিনই মারা পড়ছে কাজিরাঙ্গা জাতীয় উদ্যানের বিরল প্রাণী। আগামী ৪৮ ঘণ্টা রাজ্যগুলোয় বজ্রাঘাতসহ ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির জাতীয় আবহাওয়া অধিদফতর।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শিগগিরই দুর্গত এলাকাগুলোর ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণে যাবে একটি দল। তারপরই চূড়ান্ত হবে রাজ্যগুলোকে ত্রাণ এবং সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত তহবিলের পরিমাণ।
এদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বরাক উপত্যকার। সেখানে জরুরি ত্রাণ সহযোগিতার পাশাপাশি তেল, ডিজেল এবং বালুভর্তি বস্তা পৌঁছানোর তাগিদ দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন।
এসজেড/
Leave a reply