ব্রিকস সম্মেলনে যে বার্তা দিলেন পুতিন

|

ছবি: সংগৃহীত

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত চলমান ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সম্মেলনে যোগ দেয়ার মাধ্যমে কার্যত বিশ্বমঞ্চে আবারও ফিরে এলেন পুতিন। ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর এই প্রথম কোনো বৈশ্বিক জোটের শীর্ষ নেতাদের সম্মেলনে যোগ দিলেন পুতিন। খবর সিএনএনের।

এদিন বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলের জায়ান্ট স্ক্রিনে হাজির হন পুতিন। নিজের ভাষণে আবারও বৈশ্বিক সঙ্কট সৃষ্টির জন্য পশ্চিমাদের দায়ী করেন তিনি। পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে স্বার্থপর আচরণের অভিযোগ তুলে রাশিয়াকে সহযোগিতার জন্য ব্রিকস জোটের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানান পুতিন। ইউক্রেনে হামলার পর মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রাশিয়া ‘একা’ নয়-নিজের বক্তব্যে এমন বার্তাই দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

বৈশ্বিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন অস্বস্তি সত্ত্বেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্রিকসের ১৪তম শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন বৈশ্বিক শৃঙ্খলা সম্পর্কে ব্রিকসভূক্ত দেশগুলোর দৃষ্টিভঙ্গি পশ্চিমাদের থেকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গীর প্রতিফলন ঘটায়।

আলোচিত এ সম্মেলন প্রসঙ্গে নয়াদিল্লিভিত্তিক সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের (সিপিআর) সিনিয়র ফেলো সুশান্ত সিং বলেন, আমরা এমন কিছু বড় অর্থনীতির দেশের কথা বলছি, যেসব দেশের নেতারা পুতিনের সাথে দেখা করতে ইচ্ছুক। এ সম্মেলনে পুতিনকে স্বাগত জানার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, বিশ্বে পুতিন অচ্ছুত কোনো ব্যক্তি নন। এমনকি তিনি সমাজচ্যুতও নন। তাকে কোনোভাবেই সমাজের বাইরে ঠেলে দেয়া হচ্ছে না। এটা নিঃসন্দেহে পুতিনের জন্য ইতিবাচক।

রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে কতোটা পড়ছে, তা যাচাইয়ের জন্য পশ্চিমা দেশগুলোকে ব্রিকস জোট আহ্বান জানাতে পারে বলেও মনে করেন পর্যবেক্ষকরা।

সম্মেলনের আয়োজক চীন তার নিজস্ব অ্যাজেন্ডায় গুরুত্ব দেবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গত মাসে ব্রিকস পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং জোটের সদস্য দেশগুলোর পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থা ও নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করা, গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে সমন্বয়, আধিপত্যবাদ ও ক্ষমতার রাজনীতির বিরোধিতা করা, উন্নয়নের প্রচার-প্রসারের জন্য জোটের সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।

ব্রিকস সম্মেলনের উদ্বোধনী দিনে চীনা প্রেসিডেন্ট মস্কোর ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করে বলেন, নিষেধাজ্ঞার অপপ্রয়োগ স্নায়ুযুদ্ধের মানসিকতার শামিল। এ সময় কয়েকটি দেশের একতরফা নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি রাজনৈতিক ও সামরিক শক্তি কুক্ষিগত করার প্রচেষ্টার বিরোধিতা বিশ্বের করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন ফোরামে প্রধান উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর আরও প্রতিনিধিত্বের আহ্বান জানিয়ে আসছে ব্রিকস।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply