টাঙ্গাইলে স্কুলের আবাসিক ভবনের বাথরুমে শিক্ষার্থীর লাশ, হত্যা নাকি আত্মহত্যা?

|

টাঙ্গাইলের সৃষ্টি শিক্ষা পরিবারের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিহাবের রহস্যজনকভাবে মৃত্যুর পর থেকেই এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে শহরজুড়ে। আলোচনার বিষয়বস্তু, এটা হত্যা নাকি আত্মাহত্যা? শিহাবের পরিবারের দাবি, এটি পরিকল্পিত খুন। তবে সৃষ্টি স্কুল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, এটি আত্মহত্যা।

সখিপুর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামের প্রবাসী ইলিয়াস হোসেনের একমাত্র সন্তান শিহাবকে টাঙ্গাইলের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি স্কুলের আবাসিকে ভর্তি করেছিলেন বাবা-মা। গত ২০ জুন বিকালে সৃষ্টি স্কুলের আবাসিক ভবনের বাথরুম থেকে শিহাবের লাশ উদ্বার করে ৩০ মিনিটের মধ্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে শিহাব কীভাবে মারা গেল, বা কখন লাশ পাওয়া গেছে এ ব্যাপারে পরিবারকে কিছুই জানায়নি কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি নিয়ে টাঙ্গাইল জেলায় সকল শ্রেণির মানুষের মাঝে দেখা গেছে এক প্রকার ধূম্রজাল।

এদিকে শিহাব হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সহপাঠী ও শহরের বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, শিহাব ৫ম শ্রেণির ছাত্র ছিল, সে কী কারণে আত্মহত্যা করবে? বরং তাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তারা। আর শিহাবের বাবা জানান, তার গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তবে সৃষ্টি স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, শিহাব আত্মহত্যা করতে পারে। শিক্ষা পরিবারের সিইও মাহবুবুল ইসলাম মিরণ বলছেন, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছুই জানেন না তিনি। একই কথা বললেন স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল আনোয়ার হোসেনও।

টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন আবু ফজল মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন খান বলছেন, এখনও ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসেনি। আসলেই বলা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্মাহত্যা। পুলিশও বলছে একই কথা। টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে তারা বিষয়টি তদন্ত করছেন বলেও জানালেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply