‘রুশ আগ্রাসনের জবাব দিতেই ইউক্রেনকে প্রার্থী দেশ হিসেবে ইইউয়ের অনুমোদন’

|

ছবি: সংগৃহীত

রুশ আগ্রাসনের কড়া জবাব দিতেই ইউক্রেনকে সদস্যপ্রার্থী দেশ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এমন মন্তব্য করেছেন ইইউ নেতারা। বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) ব্রাসেলসে এক বৈঠকে ইউক্রেনকে সদস্যপ্রার্থী দেশ হিসেবে সমর্থন দেয় জোটটির সদস্য দেশগুলো। একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জর্জিয়া এবং মলদোভার ক্ষেত্রেও। এদিকে, ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কণ্ঠে ঝরেছে প্রত্যয়, ইইউ পরিবারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর এখন একমাত্র লক্ষ্য রাশিয়াকে পরাজিত করা। খবর সিএনএনের।

ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন শুরু পর থেকেই আলোচিত ছিল দেশটির ইউরোপীয় জোটে অন্তর্ভুক্তির ইস্যুটি। মস্কোর দফায় দফায় হুঁশিয়ারী সত্ত্বেও গেলো মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগ দিতে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানায় ইউক্রেন। তারই প্রেক্ষাপটে গেলো ১৭ জুন, ইউক্রেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করার পক্ষে প্রস্তাব দেয় ইউরোপীয় কমিশন।

এই ইস্যুতে বৃহস্পতিবার বৈঠক বসে ব্রাসেলসে। এ সময় ইউক্রেনকে ইইউ’র ‘সদস্যপ্রার্থী দেশ’ হিসেবে সমর্থন দেয় জোটটির বাকি দেশগুলো। একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় জর্জিয়া এবং মলদোভার ক্ষেত্রেও। ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট ভন দের লিয়ঁ বলেন, ইউক্রেন, জর্জিয়া ও মলদোভার প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন। এখন থেকে তিনটি দেশই ইউরোপীয় পরিবারের সদস্য। ঐতিহাসিক এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে জোট সদস্যদের কোনো আপত্তি বা সন্দেহ ছিল না। এর মাধ্যমে, রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে দেশগুলোকে রক্ষা করা যাবে। আরও শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ হবে ইইউ।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরন বলেন, যেকোনো আঘাত প্রতিরোধে ইইউ সব সময়ই ঐক্যবদ্ধ। প্রথমে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি, সামরিক সহায়তা পাঠিয়েছি। আর এখন ইউক্রেনকে ইইউ পরিবারের অন্তর্ভুক্ত করা হলো। ইউক্রেনে আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এটা খুবই শক্ত একটি বার্তা।

ব্রাসেলসের এই সিদ্ধান্তে উচ্ছ্বসিত প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিয়েভ। যেকোনো মূল্যে রাশিয়াকে পরাজিত করাই এখন মূল লক্ষ্য বলে প্রত্যয় জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদিমের জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ৩০ বছরের অপেক্ষা আর ১২০ দিনের লড়াই আজ স্বীকৃতি পেলো ইইউ নেতাদের এই ঘোষণার মাধ্যমে। ইউক্রেন এখন থেকে ইউরোপীয় পরিবারে অন্তর্ভুক্ত হলো, এটা পুরো দেশবাসীর জন্য সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। তবে এখানেই শেষ নয়, আমাদের লক্ষ্য এখন যেকোনো মূল্যে রাশিয়াকে পরাজিত করা।

ইইউ’তে প্রবেশের পথ বেশ দীর্ঘ এবং সময়সাপেক্ষ। সদস্যপ্রার্থী দেশের তালিকায় রয়েছে উত্তর মেসিডোনিয়া, আলবেনিয়া, মন্টেনেগরো, সার্বিয়া ও তুরস্ক। ১৯৯৯ সালে ইইউ’র সদস্যপ্রার্থী দেশের মর্যাদা লাভ করে তুরস্ক। আর, ২০০৫ সালে এই মর্যাদা অর্জন করে উত্তর মেসিডেনিয়া। কিন্তু দেশগুলো এখনো চূড়ান্ত সদস্যপদ পায়নি।

আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যে বার্তা দিলেন পুতিন

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply