অগ্ন্যুৎপাতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ইতালির পম্পেই নগরীতে সন্ধান মিললো প্রায় ২ হাজার বছর আগের কচ্ছপের দেহাবশেষ। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, ৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরিতে গোটা নগরী নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়, সে সময়কার ফসিল এটি। গবেষণায় আগে শহরটির ইতিহাস এবং অবস্থান নিয়ে ধারণা পাওয়া গেলেও এবার নতুন তথ্য মিলবে বলে আশা প্রত্নত্ত্ববিদদের। খবর ফোর্বসের।
পম্পেই নগরীর বিশাল এলাকা জুড়ে একটু একটু করে খোঁড়া হচ্ছিলো মাটি। এ সময় হঠাৎই সন্ধান মেলে বড় আকারের একটি কচ্ছপের ফসিলের। পাশেই পাওয়া যায় কয়েকটি ডিমের ভাঙা অংশ। প্রত্নতাত্ত্বিকদের ধারণা এটি ৭৯ খ্রিষ্টাব্দের।
বলা হয়, পরিত্যাক্ত পম্পেইয়ের পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের গল্প। পুরাকীর্তিতে প্রায়ই মিলছে বিভিন্ন জিনিস।
পম্পেইয়ে কর্মরত প্রত্নত্ত্ববিদ গ্যাব্রিয়েল যুস্তারিজেল বলেন, ৬২ খ্রিস্টাব্দে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছিলো সে সময়ই সাগর থেকে ঢেউয়ের সাথে উঠে এসেছিল বিভিন্ন প্রাণী। পরে ধ্বংসস্তপের নিচে চাপা পড়ে কচ্ছপটির মৃত্যু হয় বলে ধারণা করছি। পাশেই যে ডিমগুলো পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়েও গবেষণা চলছে। ওই সময় বন্য বা সামুদ্রিক প্রাণীদের অবস্থান কেমন ছিলো সে সম্পর্কে ভাল একটা ধরণা মিলবে বলে আশা করছি।
শুধু কচ্ছপের দেহাবশেষই নয়, এদিন সন্ধান মিলেছে বিভিন্ন প্রাণীর হাড় ও আসবাবপত্রেরও।
গ্যাব্রিয়েল আরও বলেন, এখান থেকে বেশ কিছু তৈজসপত্রের টুকরো উদ্ধার করেছি। নকশা করে ভবন তৈরির নানা সরঞ্জাম মিলেছে। এসব পণ্য ভূমিকম্পের পর নতুন করে সংস্কারের সময়কার হতে পারে বলে ধারণা তার।
প্রসঙ্গত, ৭৯ খ্রিস্টাব্দে আগ্নেয়গিরি ভিসুভিয়াসের লাভার নিচে হারিয়ে যায় পম্পেই নগরী। সে সময় প্রায় ১৩ হাজার মানুষের আবাস ছিল শহরটিতে। লাভার নিচে চাপা পড়া শহরটির সন্ধান মেলে ১৬ শতকে। ২০১০ সালে, পম্পেইকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শহরটির বড় একটি অংশ পুনরূদ্ধার করা হয় ২০১৩ সালে।
/এসএইচ
Leave a reply