রাজধানীর ভাটারায় দোকান লুটের এক সপ্তাহ পার হলেও এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ। যদিও সিসিটিভির ফুটেজে অপরাধীরা স্পষ্ট। তারপরও মামলা নিতে পুলিশের এমন গড়িমসিকে রহস্যজনক বলছেন ভুক্তভোগীরা। তবে ভাটারা থানা পুলিশ বলছে, দোকান লুটের ঘটনায় জড়িতদের ধরার চেষ্টা চলছে।
এর আগে, গত ২২ জুন রাত সাড়ে ৩টার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালের দক্ষিণ পাশে তাজ ফার্মেসির সামনে থামে একটি প্রবক্স গাড়ি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, লাঠি হাতে নিয়ে দোকানের কাছাকাছি থাকা এক রিকশাচালককে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিতে। এরপর তিন মিনিটের মধ্যে দোকানের আটটি তালা কেটে ফার্মেসির ক্যাশ বক্স লুটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ফার্মেসি মালিক তাজুল ইসলামের দাবি, তার দোকান থেকে চার লাখ টাকা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এতো নজরদারির পরও এভাবে দোকান লুটের ঘটনায় বাহিনীরই কেউ জড়িত থাকতে পারে বলে সন্দেহ তার।
ভুক্তভোগী তাজুল ইসলাম বলেন, ফুটেজে দেখা গেছে যে ওরা মাস্ক পরা আর তাদের হাতে লাঠি। দেখে মনে হচ্ছে যেন ওরা প্রশাসনের লোক, মানে এরকম ভাব নিয়েই দাঁড়িয়েছিল ওরা। একজন রিকশাওয়ালা দাঁড়িয়েছিলেন, তাকেও অনেকটা পুলিশের মতো করেই ধাওয়া দেয় তারা। রিকশাওয়ালা এবং সিকিউরিটি গার্ড দৌড়ে আসতে আসতে ওরা তালা কেটে সব নিয়ে চলে গেছে।
ফার্মেসি লুটের কিছু আগে একই রাস্তার আরেকটি দোকান, ভাই ভাই স্টোর লুট করে এই একই চক্র। একই দিনে দুটি দোকানে ডাকাতি হওয়ায় শঙ্কায় এলাকার ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমি খুবই মর্মাহত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছিলো ওরা তালা না বরং কাগজ কাটছিল। শুধু এখানেই না আরও কিছু দোকানে এরকম চুরি হয়েছে। পাঁচ মিনিটের মধ্যে তালা কেটে নিয়ে যেভাবে চলে গেলো এটা খুবই আতঙ্কের।
অবশ্য থানা পুলিশের দাবি, অপরাধীদের ধরার চেষ্টা চলছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।
/এসএইচ
Leave a reply