স্টাফ করেসপনডেন্ট, নরসিংদী:
নরসিংদীতে জমজমাট কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতাদের দাবি, বিক্রেতারা দাম চাচ্ছেন বেশি। অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বিনিয়োগকৃত টাকা ওঠানোই কষ্টকর হচ্ছে। এদিকে, পশুর সুস্থতা নিশ্চিতে বাজারে রয়েছে মেডিকেল টিম।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার পুটিয়ায় বসেছে জেলার সবচেয়ে বড় হাট। পছন্দের পশুটি কিনতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হাটে ঘুরছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজেটের চেয়ে বেশি দাম হাকাচ্ছেন বিক্রেতারা।
এদিকে, বিক্রেতাদের কপালে ভাঁজ। একটা পশু লালন-পালন করে কোরবানির উপযোগী করে তৈরি করতে যে খরচ হয়েছে এবং বেপারিরা কিনে এনে যেই টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন সেই টাকাই উঠবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। বাজারে ভারতীয় গরু না আসলেও সিলেট, সুনামগঞ্জ ও পঞ্চগড়সহ যেসব অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে সেসব অঞ্চলের পশু এই বাজারে ঢুকেছে এবং পশুখাদ্যের দাম বাড়তি থাকায় এ বছর পশুপ্রতি খরচও হয়েছে বেশি। এর ফলে বেড়েছে বিক্রয় মূল্য।
তথ্য বলছে, এই বছর নরসিংদীর ছয় উপজেলায় স্থায়ী, অস্থায়ী মিলিয়ে ৮৩টির বেশি কোরবানির হাট বসেছে। শুধুমাত্র এই পুটিয়া বাজারের প্রতি হাটে বিক্রি হয় প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকার কোরবানির পশু। এছাড়া, নরসিংদীতে এ বছর প্রায় ২০০ কোটি টাকার কোরবানির পশুর বাজার তৈরি হয়েছে।
এসজেড/
Leave a reply