প্রথম দুই সেট হারের পর দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটিয়ে ইতালির ইয়ানিক সিনারকে হারিয়ে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে পৌঁছেছেন শীর্ষ বাছাই নোভাক জকোভিচ। সিনারের সাথে ৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট লড়াই করে ৫-৭, ২-৬, ৬-৩, ৬-২, ৬-২ সেটে জয় ছিনিয়ে নেন এই সার্বিয়ান। সেমিতে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ বৃটেনের ক্যামেরন নরি।
টানা চতুর্থ উইম্বলডন শিরোপা জয় থেকে এখন মাত্র দুই ধাপ দূরে নোভাক জোকোভিচ। সেন্টার কোর্টে কোয়ার্টার ফাইনালে ফেভারিট হিসেবে ২০ বছর বয়সী ইয়ানিক সিনারের বিপক্ষে মাঠে নামেন ‘দ্য জোকার’। শুরুটাও হয়েছিল ভালো। প্রথম তিন গেম জিতে এগিয়ে ছিলেন ৩-০’তে। কিন্তু এরপর দুর্দান্তভাবে ম্যাচে ফেরেন সিনার। ৫৭ মিনিটের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৭-৫ গেমের জয় তুলে নেন এই ইতালিয়ান।
দ্বিতীয় সেটে ইতালির এই তরুণ ছিলেন আরও দাপুটে। এবার ৬-২ গেমের সহজ জয় তুলে অঘটনের সম্ভাবনা জোড়ালো করেন সিনার। কিন্তু তৃতীয় সেট থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ান জোকোভিচ। ৬-৩ গেমের জয়ে ম্যাচ চতুর্থ সেটে নিয়ে যান এই সার্বিয়ান কিংবদন্তি।
সেরা ছন্দে ফেরা জোকোর বিপক্ষে পরের দুই সেটে আর প্রতিরোধ গড়তে পারেননি সিনার। চতুর্থ সেটে জোকোর আক্রমণ ফেরাতে গিয়ে পা হড়কে পড়ে যান এই তরুণ। ২০টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী জোকোভিচ তুলে নেন ৬-২ গেমের দাপুটে জয়। পঞ্চম সেটেও ঠিক একই ৬-২ গেমের জয়ে সেমিতে জায়গা করে নেন নোভাক জোকোভিচ।
ম্যাচ শেষে সার্বিয়ান এই নাম্বার ওয়ান বলেন, আমি ভালো খেলছিলাম না, সিনার দাপট দেখাচ্ছিল। দ্বিতীয় সেটের পর পাওয়া ব্রেকে বাথরুমের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে উদ্বুদ্ধ করেছি আমি। সেটা কাজেও দিয়েছে। এর আগেও এমনটা করেছি। তবে কখনও কাজে দিয়েছে আবার কখনও দেয়নি।
সেমিফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ বৃটিশ ক্যামেরন নরি। কোয়ার্টার ফাইনালে এই নবম বাছাই দুই দফা পিছিয়ে পড়ে বেলজিয়ামের ডেভিড গফিনের বিপক্ষে ৩-৬, ৭-৫, ২-৬, ৬-৩ ও ৭-৫ গেমের জয় তুলে প্রথম কোনো গ্র্যান্ডস্ল্যামের সেমিতে জায়গা করে নেন।
/এম ই
Leave a reply