সূর্যকুমারের সেঞ্চুরি বিফলে গেলেও সিরিজ ভারতের

|

ছবি: সংগৃহীত

ডেভিড মালানের ৭৭ রানের ঝড়ো ইনিংসকে আরেকটু হলেই অপ্রাসঙ্গিক বানিয়ে দিচ্ছিলেন সূর্যকুমার যাদব। ইংল্যান্ডের দেয়া ২১৬ রানের পাহাড়সম টার্গেটের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারতের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দেয়ার দ্বারপ্রান্তে গিয়েও সেঞ্চুরিয়ান সূর্যকুমার পারলেন না দলকে জয় এনে দিতে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানে হারলেও ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছে ভারত।

নটিংহ্যামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সিরিজে প্রথমবারের মতো দলকে ভালো সূচনা এনে দেন জেসন রয় ও জস বাটলার। আভেশ খানের বলে বাটলার বোল্ড হলে ক্রিজে আসেন ডেভিড মালান। ৮৪ রানের মধ্যে জেসন রয় ও ফিল সল্টের উইকেটও পড়ে যায়। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মালান ও লিভিংস্টোনের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ বলে ৮৪ রান। ওভারপ্রতি রানের গতিতে ১০’এ নিয়ে যান এই দুই ব্যাটার। তবে হার্ড হিটার লিভিংস্টোনের চেয়েও এদিন বেশি মারমুখী ছিলেন মালান। ৬ বাউন্ডারি ও ৫টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৯ বলে ৭৭ রান করে রবি বিষ্ণয়ের বলে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি মালান। ৪টি ছয়ের সাহায্যে ২৯ বলে ৪২ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন লিভিংস্টোন। শেষ দিকে হ্যারি ব্রুক ও ক্রিস জর্ডানের দুটি ক্যামিওতে ভারতের সামনে ২১৬ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয় আগের দুই টি-টোয়েন্টি হেরে সিরিজ খুইয়ে ফেলা ইংল্যান্ড। দু’টি করে উইকেট দখল করেন রবি বিষ্ণয় ও হারশাল প্যাটেল।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩১ রানেই ৩ উইকেট হারায় ভারত। টপলি, জর্ডান, উইলিদের সামনে আর কোনো ভারতীয় ব্যাটার ৩০ রানও অতিক্রম না করতে পারলেও ব্যাট হাতে একাই লড়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ৫৫ বলে ১৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় খেলেন ১১৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে বলা হয়, সূর্যকুমারের এই ইনিংসে কন্ট্রোল পার্সেন্টেজ ছিল ৯১ শতাংশ, যা টেস্টের ক্ষেত্রেই দুর্দান্ত। আর টি-টোয়েন্টির জন্য এক কথায় অবিশ্বাস্য। পুরো ইনিংস জুড়েই দেখা গেছে মাঠের যে প্রান্তে বল পাঠাতে চেয়েছেন ভারতের এই মিডল অর্ডার ব্যাটার, সেখানের বাউন্ডারি লাইনের ওপর পার থেকেই বল কুড়োচ্ছেন ইংলিশ ফিল্ডাররা!

সূর্যকুমার যাদব। ছবি: সংগৃহীত

নন স্ট্রাইকে সূর্যকুমারকে রেখে অন্য ব্যাটারদের আউট করাই ছিল ইংল্যান্ডের হাতে একমাত্র পথ; আর সেটাই তারা করেছে সফলভাবে। ভারতের প্রথম ৭ ব্যাটার একত্রে করেছেন ৫৭ বলে ৬৪। তবুও ম্যাচে দলকে টিকিয়ে রেখেছিলেন সূর্যকুমার। ৯ বলে ২৫ রানের সমীকরণেও ম্যাচকে এনেছিলেন তিনি। কেবল ইনিংসে প্রথমবারের মতো মিস টাইমিং হওয়ায় সাজঘরে ফেরেন সেঞ্চুরিয়ান সূর্যকুমার। তার বিদায়ের পর স্বাভাবিকভাবেই পরাজয় বরণ করেছে ভারত। ম্যাচ হারলেও সূর্যকুমারের প্রাপ্তি নটিংহ্যামের দর্শকদের কাছ থেকে স্ট্যান্ডিং ওভেশন, আর ভারতের সিরিজ জয়।

আরও পড়ুন: শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের জয়

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply