অজানা সমস্যায় এক সময় খেলা থেকে ফোকাস হারিয়েছিলেন জাতীয় দলের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। মাইন্ড ট্রেইনারের সাহায্যে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন। আছেন নিজের সেরা ছন্দে। শিগগিরই বসছেন বিয়ের পিঁড়িতে। সহধর্মিণী আগেই ঠিক করে রেখেছেন বাংলাদেশের দ্যা ওয়াল খ্যাত জিকো।
আনিসুর রহমান জিকো ৮ গজের গোলপোস্টের সামনে এক অতন্দ্র প্রহরী। সমুদ্রের পাহাড়সম ঢেউ পেরিয়ে ঝিনুক হয়ে ফেরা ছেলে আনিসুর রহমান জিকো। সাগরতীরে বেড়ে উঠা ভয়ডরহীন এক তরুণ। প্রতিপক্ষের সামনে জান বাজি রাখা জিকো।
২০১৮ সালে ছিলেন কিংসের তৃতীয় গোলরক্ষক। মূল গোলরক্ষকের ইনজুরিতে সুযোগ পেয়ে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে জাতীয় দলের গোলপোস্টে প্রথম পছন্দ কক্সবাজারের এই ছেলে। ক্রীড়ায় আপস অ্যান্ড ডাউন থাকবেই। নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করা জিকোও পড়েছিলেন খারাপ সময়ে। অজানা সমস্যায় ফোকাস হারাচ্ছিলেন খেলা থেকে। কিন্তু সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন মাইন্ড ট্রেইনারের সাহায্যে।
আনিসুর রহমান জিকো বলেন, মাঝখানে আমার এক দুইটা ম্যাচ খারাপ গেছে। আমিতো অনেক হার্ডওয়ার্ক করি আরও ভালো করার কথা। তখন আমি সাবিদ ভাইয়ের সাথে কথা বলি তখন ভাই আমাকে বলেছেন আগে যেগুলো ভালো করেছি জাস্ট সেগুলোই ফোকাস করার জন্য। এরপরে আমি আমার ফোকাসগুলো ধরে রাখছি।
ফোকাস ফিরে পেয়েছেন। প্রতিপক্ষকে সামলাচ্ছেন সেরা ছন্দে। শুধু প্রতিপক্ষ সামলালেই যে চলবে না, ঘরটাওতো সামলাতে হবে বিশ্বস্ত হাতে। প্রতিপক্ষের জন্য তোলা দেয়াল এবার সরিয়ে নিতে চান প্রিয়সীর আগমনের জন্য। উন্মুক্ত করে দিতে চান ৮ গজের গোলবার।
বিয়ে নিয়ে জিকো বলেন, সবাই যে কেন এমন প্রশ্ন করে বুঝতেছি না। আমার বিয়ে খাওয়ার জন্য সবাই কেন এমন করতেছে। বিয়ে তো করতে হবে। সময় সুযোগ হলে অবশ্যই করে ফেলবো। যদি বেশি টাইম পাই তাহলে এ বছরই হবে আর না হলে আগামী বছর হবে।
পাত্রী পরিচিত কিনা জানতে চাইলে জিকো বলেন, মেয়েতো অবশ্যই পরিচিত থাকবে। অনেক ফ্রেন্ড সার্কেল, অনেক মানুষ ফলো করে আমাকে, ওখানেতো পরিচিত অবশ্যই থাকবে। পরিবারের সাথ কথাবার্তা বলে তারপর আগাবো আরকি।
ইউএইচ/
Leave a reply