রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একেকজন একেক রকম লক্ষণ নিয়ে এসেছেন হাসপাতালে। টেস্ট করিয়ে কেউ নিশ্চিত হচ্ছেন কোভিড-১৯, কেউ টাইফয়েড বা ডেঙ্গু।
হাসপাতালে যাওয়ার আগে সাধারণ মানুষ বুঝে উঠতে পারছেন না কোনটিতে আক্রান্ত তারা। তাই কোনো জ্বরকেই অবহেলা না করার পরামর্শ চিকিৎসকদের। তারা বলছেন, অসুস্থ হলেই শরণাপন্ন হতে হবে চিকিৎসকের। তাদের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা যাবে না ওষুধ।
তবে চিকিৎসকদের বড় দুশ্চিন্তার কারণ ডেঙ্গু। কেননা অন্য সকল জ্বরের চেয়ে ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা হঠাৎ করেই নাজুক হয়ে পড়ার শঙ্কা থাকে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা পড়েন ভোগান্তিতে।
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর টানা ৩-৪ দিন থাকে। কোনোভাবেই কমানো যায় না। এক্ষেত্রে বাচ্চা খুব দুর্বল হয়ে পড়ে। বমি করতে পারে। পেটে ব্যথা হতে পারে। কিন্তু চারদিন পার হয়ে গেল। হঠাৎ করে জ্বরটা চলে গেল। জ্বরটা চলে গেলে বাচ্চাটা নিস্তেজ হয়ে যেতে পারে।
গেল ছয় মাসে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৬৭০ জন। চিকিৎসকদের ধারণা, বৃষ্টির পরিমাণ বাড়লে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরও বাড়বে। এরমধ্যে গেল ছয় মাসে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ডেঙ্গুর চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৯১ জন। জুলাই মাসে ১২ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিয়েছে ঢাকা শিশু হাসপাতালে।
ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে জ্বর ছেড়ে যাওয়ার পরেই রোগীর অবস্থা হঠাৎ খারাপ হতে পারে। তাই এমন রোগীর ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক সেবা জরুরি বলে উল্লেখ করছেন চিকিৎসকেরা। বিশেষ করে পানীয়, তরল খাবার, শাক সবজি, খাবার স্যালাইন দেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।
কোনো জ্বরের ক্ষেত্রেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এন্টিবায়োটিক বা ব্যাথানাশক ওষুধ সেবন না করতে বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
/এমএন
Leave a reply