বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর অসীম সাহসিকতায় ধরা পড়লো ছিনতাইকারী। কারও সহায়তা ছাড়া একাই পাকড়াও করে পুলিশে দিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, ছিনতাইকারীর আরেক সহযোগীকেও কৌশলে ধরিয়ে দেন এই শিক্ষার্থী। একসাথে দুই ছিনতাইকারী ধরিয়ে দেয়ার পরও থানা পুলিশের কাছ থেকে সহায়তা না পাওয়ার অভিযোগ ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর।
ঘটনাটি রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকার। বুধবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে মিরপুর থেকে বাসে পুরান ঢাকায় যাচ্ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী। জানালা দিয়ে ছোঁ মেরে তার মোবাইল ফোনটি নিয়ে নেয় এক ছিনতাইকারী। বাস থেকে নেমে ছিনতাইকারীকে ধাওয়া করে ভুক্তভোগী তরুণী। কিন্তু পালিয়ে যায় সেই অভিযুক্ত। এরই মাঝে ওই শিক্ষার্থী ঘটতে দেখেন আরেক ছিনতাইয়ের ঘটনা। এক নারীর ব্যাগ নিয়ে পালাচ্ছিল আরেক ছিনতাইকারী। হাতেনাতে তাকে ধরে ফেলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। মাটিতে ফেলে নিজের মোবাইল হারানোর রাগ ঝাড়তে দেখা যায় ব্যাগ ছিনতাইকারীর উপর।
তখন আশেপাশে জড়ো হয় বেশ কয়েকজন মানুষ। ভুক্তভোগীকে থামানোর চেষ্টার পরও থামানো যায়নি। এ সময় ঘটনাস্থলে আসেন মানবজমিন পত্রিকার ফটোসাংবাদিক জীবন আহমেদ। তার সহায়তায় আটকে রাখা ছিনতাইকারীর আরেক সহযোগীকে ধরে ফেলেন ওই শিক্ষার্থী। জীবন আহমেদ জানান, তিনি ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। কারণ, এ সকল ক্ষেত্রে ছিনতাইকারীদের ধরতে গেলে তারা ছুরি ব্যবহার করে থাকে। তাই ভুক্তভোগীকে একা যেতে না দিয়ে তিনিও যান সঙ্গে। কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে ব্যাগ ছিনতাইকারীকে পাকড়াও করা হয়।
এরপর ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। আটকে রাখা দুই ছিনতাইকারীসহ অভিযোগ নিতে ভুক্তভোগীকেও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় পুলিশের উপর ক্ষোভ জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। তার বক্তব্য, একজন ছিনতাকারীকে ধরে তার কাছ থেকে তথ্য আদায় করে আরেকজনকে ধরেছেন তিনি। দুইজন ছিনতাইকারীকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়েছেন তিনি। এরপরও যদি পুলিশ তার ফোন উদ্ধার করতে না পারে তবে এর চেয়ে বড় ব্যর্থতা আর কিছুই হতে পারে না।
রাজধানীতে হরহামেশা ছিনতাইয়ের ঘটনার মধ্যে এক নারীর এমন সাহসী কাজ দেখে বাহবা দিতে দেখা যায় অনেককেই। যদিও শুরুতে ভুক্তভোগীর সহায়তায় এগিয়ে আসেনি কেউ।
/এম ই
Leave a reply