দু’মাসের মধ্যেই চালু হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম

|

ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য প্রস্তত হচ্ছে রামগড় স্থলবন্দর। দু’মাসের মধ্যে চালু হবে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম। তবে সীমানা জটিলতায় আটকে আছে অবকাঠামো নির্মাণ। সেই কাজ শেষ হলে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি রফতানির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

ফেনী নদীর উপর বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতু-১ নির্মাণের পর খাগড়াছড়ির রামগড় পর্যন্ত সংযোগ সড়কের কাজ শেষ। এখন চলছে টোল এবং ওজন স্টেশন নির্মাণকার্জ। ভারত অংশের সাব্রুম এলাকায় অবকাঠামো এবং সড়ক নির্মাণও প্রায় শেষ। সাব্রুম থেকে আগরতলা পর্যন্ত রেল যোগাযোগ চালু হয়েছে। তবে সীমান্ত জটিলতায় আটকে আছে রামগড় স্থলবন্দরের মূল অবকাঠামো অর্থাৎ শুল্ক স্টেশন, প্যাসেঞ্জার টার্মিনালসহ বন্দর ভবনের কাজ। তবে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরুর আগেই, দু’মাসের মধ্যে অভিবাসন কার্যক্রম শুরু করতে চায় দুই দেশের সরকার।

এ নিয়ে রামগড় প্রকল্প পরিচালক সরওয়ার আলম জানান, আমাদের জানামতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে এটি উদ্বোধান করবেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনের পরবর্তী মাস থেকেই ইমিগ্রেশন ব্যবস্থা চালু হবে। সেই হিসেবে অক্টোবর থেকেই কার্যক্রম শুরু হবে।

স্থলবন্দরটির সাথে চট্টগ্রাম বন্দরের সংযোগ স্থাপনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারৈয়ারহাট থেকে রামগড় পর্যন্ত ৩৮ কিলোমিটার সড়ক চার লেইনে উন্নীত করা হচ্ছে। পুরোপুরি চালু হলে স্থলবন্দরটি দিয়ে মাত্র তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য চলে যাবে সেভেন সিস্টার্স নামে পরিচিত ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ৭টি রাজ্যে। ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরও।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যদি পুরোদমে ট্রানজিট চালু হয়, সেক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা রয়েছে। তবে শুধু ট্রানজিট নয়, এই স্থলবন্দরটি পণ্য আমদানি ও রফতানিরও নতুন দ্বার খুলবে বলে আশাবাদী ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ১১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত রামগড় স্থলবন্দরের কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply