গাজীপুরের শ্রীপুরে বিয়ের ৩ মাস যেতে না যেতেই স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে ফেলে পালিয়েছে শাহিন আলম (২৫) নামের এক ব্যক্তি। শনিবার (২৩ জুলাই) বিকেলে উপজেলার কেওয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। ঘটনায় শাহিনকে আটক করতে না পারলেও তার মাকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত আলফিনা (১৮) নেত্রকোণা জেলার সদর থানার হাবিবপুর গ্রামের রহমত আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত শাহিন আলমের বাড়িও একই থানায়।
পরিবার জানায়, ৩ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আলফিনা ও শাহিনের। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তাদের দুজনের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় কথা কাটাকাটি শুরু হয়। জীবিকার তাগিদে কিছুদিন আগে স্বামী ও স্ত্রী মিলে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া গ্রামে একটি বাসা ভাড়া নেন এবং দুটি আলাদা কারখানায় চাকরি নেন।
আজ বিকেলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে শাহিন আলম আলফিনাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন। এক পর্যায় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে চিকিৎসার জন্য আলফিনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও নিয়ে যান শাহিন। তবে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান আলফিনা।
পরে স্ত্রীর মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান শাহিন। কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আলফিনার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে শ্রীপুর মডেল থানা পুলিশ হাসপাতাল থেকে আলফিনার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামি শাহিন আলম পলাতক। নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
/এডব্লিউ
Leave a reply