ওডেসায় রুশ বাহিনীর হামলায় ভবিষ্যতে মস্কোর সাথে সমঝোতার সব সম্ভাবনা নষ্ট করেছে। এমন মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি। শস্য রফতানিতে দু’দেশের চুক্তির কয়েক ঘণ্টার মাথায় এমন হামলাকে ‘বর্বরোচিত’ আখ্যা দেন তিনি। চুক্তির শর্ত ভঙ্গ না হলেও, রাশিয়ার আগ্রাসী আচরণে উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ ও জাতিসংঘ। শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে চুক্তির মধ্যস্থতাকারী তুরস্ক। খবর রয়টার্সের।
ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকেই বন্ধ ওডেসা বন্দর। আটকে আছে ২ কোটি টন শস্য। দীর্ঘ দর কষাকষির পর ইস্তাম্বুলে দু’পক্ষের চুক্তিতে স্বস্তি ফিরে আসে বিশ্বজুড়ে।
তড়িঘড়ি করে যখন প্রথম চালান রফতানির প্রস্তুতি চলছিলো, তখনই ক্যালিবার ক্রুজ মিসাইলের আঘাত বন্দরে। হামলার জন্য রাশিয়াকেই দায়ী করছে ইউক্রেনসহ পশ্চিমারা। চুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এমন আগ্রাসী আচরণে নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উদ্বেগ-ক্ষোভ জানিয়েছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দাবি, মস্কোর ওপর আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এমন কর্মকাণ্ডে। রাশিয়ার ওপর আর বিশ্বাস রাখা সম্ভব নয়, এমন মন্তব্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার মতাদর্শ আর রাজনৈতিক অবস্থান প্রকাশ পাচ্ছে এ হামলায়। যারা রাশিয়ার সাথে আলোচনা বা চুক্তির কথা বলে, তারা দেখুক কি পরিণতি হয়েছে। রাশিয়া মিসাইল ছুঁড়ে আলোচনার সব সম্ভাবনা ধ্বংস করে দিয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য কোনো বিবৃতি দেয়নি এ বিষয়ে। তবে মধ্যস্থতাকারী তুরস্ক বলছে, মস্কোর সাথে যোগাযোগ করেছে তারা। হামলার কথা অস্বীকার করেছে পুতিন প্রশাসন।
এদিকে মধ্যস্থতাকারী দেশ তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হুলুসি আকর বলেন, রুশ কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছে, হামলার সাথে সম্পৃক্ততা নেই তাদের। বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তারা। চুক্তির পরপরই এমন ঘটনায় আমরাও উদ্বিগ্ন। তবে চুক্তির শর্ত যাতে ভঙ্গ না হয় সে লক্ষ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।
শুক্রবার ইস্তাম্বুলে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী ওডেসাসহ তিনটি বন্দর দিয়ে খাদ্যপণ্য পরিবহনের সুযোগ দেয়া হয়। জাহাজে তল্লাশি হলেও পরিবহনের সময় হামলা হবে না বন্দরে আছে এমন শর্ত।
এটিএম/
Leave a reply