নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় নিজেরা কোনো আইনি পদক্ষেপ না নিলেও অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের আজীবন বহিষ্কার করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
সোমবার (২৫ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য জানান, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ ঠেকানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। একইসাথে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন রাস্তা ও স্থাপনায় রয়েছে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা। সিসি ক্যামেরা স্থাপনের পাশাপাশি নিরাপত্তা প্রহরীদের নজরদারিও বেড়েছে। এছাড়া ইতোপূর্বে হেনস্থার তিনটি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলেও ব্রিফিংয়ে জানান উপাচার্য। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঠেকাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সর্বোচ্চ তৎপর থাকবে বলেও জানান ভিসি।
ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত ৫ জনকে গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার করেছে র্যাব। এর মধ্যে মূল হোতা আজিম ও বাবু যথাক্রমে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ও নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটি তাদের আজীবন বহিষ্কার করেছে। আর শাওন ও মাসুদ দু’জনই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ হাটহাজারী কলেজের শিক্ষার্থী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চবি প্রশাসন। সর্বশেষ গ্রেফতার হওয়া সাইফুলের বিষয়ে এখনও বিস্তারিত জানানো হয়নি। তবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ধরা পড়া সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে, গত ১৭ জুলাই রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের প্রীতিলতা হল থেকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে যাওয়ার পথে এক ছাত্রী ও তার বন্ধুকে আটকে মারধর এবং ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে তার ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন প্রক্টরের কার্যালয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রী অভিযোগ জানাতে গেলে চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বাধা দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে রুবেলের দাবি, তিনি ওই ছাত্রীকে অভিযোগ দিতে বাধা নয়, বরং সহযোগিতা করেছেন। ইতোমধ্যে রুবেলকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করায় শোকজ করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়।
/এডব্লিউ
Leave a reply