জার্মান গ্রাফিতি শিল্পীর রঙতুলির ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে চবির শাটল ট্রেন

|

চট্টগ্রাম ব্যুরো:

জার্মান গ্রাফিতি শিল্পীর রঙতুলির ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের রূপ। সব বগি এখন চিত্রকর্মে রঙিন। তুলির আঁচড়ে মূর্ত হয়ে উঠেছে বাংলার চিরায়ত সৌন্দর্য। একসময় বিবর্ণ শাটলের ভিন্ন এই রূপ নজর কাড়ছে সবার। ব্যতিক্রমী শিল্পকর্মে মুগ্ধ শিক্ষার্থীরাও।

রঙ তুলির ছোঁয়ায় এ যেনো অন্য এক রূপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাটল ট্রেনের। জার্মানির বার্লিন থেকে আসা গ্রাফিতি শিল্পী লুকাসের নিপুণ শিল্পকর্মে মূর্ত হয়ে উঠেছে বাংলার চিরায়ত প্রাণ প্রকৃতি।

সস্ত্রীক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরতে এসে ক্যাম্পাসের অপরূপ নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অন্যতম বাহন শাটল ট্রেনের প্রেমে পড়েন জার্মানির একটি আর্ট গ্রুপের প্রধান এই শিল্পী। কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নিজ অর্থায়নে শুরু করেন এ কাজ।

লুকাস জানিয়েছেন, বাংলাদেশ খুবই চমৎকার ও সুন্দর একটা দেশ। এ দেশের সৌন্দর্য মুগ্ধ করেছে। আর ট্রেন হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ ক্যানভাস। তাই গ্রাফিতির জন্য ট্রেন একটা আদর্শ জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয় শাটলকে আমরা গ্রাফিতির জন্য নির্ধারণ করেছি এর কারণ হলো আমরা কিছু শিক্ষামূলক প্রকল্প নিয়েছি। আমরা চাই, মানুষ যাতে এখান থেকে শিখতে পারে। তরুণেরা সব সময় নতুন কিছু শিখতে চায়। তারা গ্রাফিতি দেখবে, চিন্তা করবে ও এটা নিয়ে গবেষণা করবে। এ জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনকে গ্রাফিতির মিডিয়াম হিসেবে নিয়েছি।

এতোদিনকার বিবর্ণ বগির গায়ে জাতীয় সংসদ, সুন্দরবন, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, পাহাড়, সমুদ্রের গ্রাফিতি শাটল ট্রেনের সৌন্দর্যে এনে দিয়েছে ভিন্নমাত্রা। এ কাজে শিল্পীকে সহায়তা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক অরূপ বড়ুয়া বলেন, প্রকৃতপক্ষে এই কাজের অর্থায়ন তারাই করছেন। আর আমি আমার পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব আমি অর্থায়ন করার চেষ্টা করছি।

শিক্ষার্থীদের কাছে এই শাটল ট্রেনের আবেদন অন্যরকম। পাল্টে যাওয়া রূপ দেখে মুগ্ধ তারাও। ১৯৮০ সালে চালু হওয়া শাটল ট্রেনযোগে প্রতিদিন শহর থেকে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার শিক্ষার্থী।

ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply