৬ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি কিংবদন্তি মোহাম্মদ আলীর ‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ বেল্ট

|

ছবি: সংগৃহীত

৬.১৮ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৮ কোটি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি হলো কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর একটি চ্যাম্পিয়নশিপ বেল্ট। ৪৮ বছর আগে জর্জ ফোরম্যানের বিপক্ষে ‘রাম্বল ইন দ্য জঙ্গল’ লড়াই জয়ের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছিলেন সেই বেল্ট। সম্প্রতি ডালাসের হেরিটেজ অকশন নামের এক প্রতিষ্ঠান নিলামে তোলে এই বেল্ট। এনএফএলের দল ইন্ডিয়ানাপলিস কোল্টসের মালিক জিম ইয়ারসে সেটি কিনে নিয়েছেন ৬.১৮ মিলিয়ন ডলারে ।

‘আপনার সামনে কোনো পাহাড় নেই, যেটা আপনাকে থামিয়ে দিয়েছে। এটা আসলে আপনার জুতার মধ্যে থাকা নুড়ি পাথর।’ উক্তিটি সর্বকালের সেরা বক্সার মোহাম্মদ আলীর। ক্রীড়াঙ্গণে যার উচতা পাহাড়সম। আলীর বক্সিংয়ে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান এক সাইকেল চোরের। ১২ বছর বয়সে আলী এক সাইকেল চোরকে ধরার সময় তাকে এমনভাবে ঘুষি মারেন, যা দেখে লুইসভিল থানার পুলিশ অফিসার জো মার্টিন মুগ্ধ হয়ে যান। এই মার্টিনই আলীর প্রথম বক্সিং কোচ।

‘রাম্বল ইন দ্য জাঙ্গল’ লড়াইয়ে জর্জ ফোরম্যানের বিপক্ষে আলীর (ডানে) অ্যাকশন। ছবি: সংগৃহীত

পরবর্তী গল্পটা সবারই জানা। আলীর বয়স তখন ৩২। নিজের সেরা সময় পেছনে ফেলে জো ফ্রেজিয়ারের কাছে হেরে জর্জ ফোরম্যানের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। সময়টা ছিল ৩০ অক্টোবর, ১৯৭৪। এই দ্বৈরথ শতাব্দীর বিখ্যাত বক্সিং লড়াইগুলোর একটি। কঙ্গোর কিনশাসায় টাটা রাফায়েল স্টেডিয়ামে আন্ডারডগ হিসেবেই নেমেছিলেন মোহাম্মদ আলী। সেই ম্যাচে ফোরম্যানের বিপক্ষে আলীর হয়ে বাজি ধরার লোকই ছিল না। কিন্তু ‘গ্রেটেস্ট অব অলটাইম’ ঠিকই জিতে নিয়েছিলেন সেই ম্যাচ, সঙ্গে কোটি মানুষের ভালোবাসা।

ছবি: সংগৃহীত

আলীর সেই বেল্টের মতোই আছে হাজারও স্মৃতি; যেগুলোর নিলাম হয় না, থেকে যায় প্রেরণার বারুদ হয়ে। যেমন, আলীর বাংলাদেশ সফর। ১৯৭৮ সালে ঢাকা বিমানবন্দরে আলীকে স্বাগত জানান লাখ লাখ মানুষ। মুগ্ধ মোহাম্মদ আলী বলেছিলেন, এটা আমার প্রিয় শহর। আমেরিকা থেকে বের করে দিলেও আমার আরেকটা বাড়ি থাকবে বাংলাদেশে।

ফিরে গিয়ে সবাইকে বলেছিলেন, স্বর্গ দেখতে চাইলে বাংলাদেশে যাও। তবে সর্বকালের সেরা এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব আর ফেরেননি বাংলাদেশে। ২০১৬ তে তিনি বিদায় বলেছেন পৃথিবীকে।

আরও পড়ুন: আসছে ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’

/এম ই


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply