‘একরাম নির্দোষ হলে তার নাম লিস্টে যারা দিয়েছে তারা ছাড় পাবে না’

|

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মাদক বিরোধী অভিযানে নিহত টেকনাফের কাউন্সিলর একরাম যদি নির্দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে তার নাম যারা লিস্টে দিয়েছে তাদেরকে ছাড় দেয়া হবে না।

আজ রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল প্রকল্পের বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, চলমান মাদক বিরোধী অভিযানে দেশের মানুষ খুশি। সুনামির মত মাদকের ছোবল থেকে দেশকে রক্ষা করতেই এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

এসময় ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, মাদকের সাথে কক্সবাজারের সংসদ সদস্য বদির সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হলে তাকেও ছাড় দেয়া হবে না। আর র‌্যাবের কোন সদস্য মাদকের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে রাতে টেকনাফ পৌর কাউন্সিলর একরাম ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যান বলে দাবি করে র‌্যাব। ঘটনার সময় রাতে একরামের মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তানরা কয়েক দফা কথা বলেন।

কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধের’ চলার সময়ও একরামের ফোন কলটি সচল ছিল। যা তার স্ত্রীর ফোনে রেকর্ড হয়। গত বৃহস্পতিবার কক্সবাজারে সংবাদ সম্মেলন করে একরামের স্ত্রী আয়েশা খাতুন ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন। একই সঙ্গে অডিওটি গণমাধ্যমকে সরবরাহ করেন।

পরে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অডিওতে শোনা যায় কথিত বন্দুকযুদ্ধের ‘ভয়ঙ্কর’ মুহূর্তগুলো, যা সরাসরি শুনেছেন একরামের স্ত্রী ও দুই কন্যা।

অডিওতে একরামের সাথে স্ত্রী-কন্যার কথোপকথন ও ঘটনাস্থলে থাকা লোকজনের নানা কথাবার্তা শোনার পর গত দুই দিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে প্রধান আলোচনার বিষয়ে পরিণত হয়েছে এটি। স্তব্ধ সাধারণ মানুষের সাথে একরামের পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশে যোগ দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরাও। প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন শনিবার ফেসবুকে তার পোস্টে জানান, অডিওটি শোনার পর তিনি আগের রাতে ঘুমাতে পারেননি।

গতকাল শনিবার অধ্যাপক আনিসুজ্জামানসহ ১০ জন বুদ্ধিজীবী বিচারবহির্ভূত হত্যায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর কথিত বন্দুকযুদ্ধের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন এখন। তাদের দাবি, দোষী কিম্বা নিদোর্ষ- কাউকেই যেন বিনা বিচারে হত্যা করা না হয়।

অডিও নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে র‌্যাব সদর দফতর থেকে বলা হয়েছে, ক্লিপটি খতিয়ে দেখছে র‌্যাব সদর দফতর। বিষয়টি তারা তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে এ বিষয়টি নিয়ে খোলাসা করা হবে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply