চট্টগ্রামে অরক্ষিত একেকটি রেলক্রসিং যেনো একেকটি মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পূর্বাঞ্চল রেলে থাকা ৮৫০টি ক্রসিংয়ের বেশিরভাগই ঝুঁকিপূর্ণ। এখানে সিগনাল বা ব্যারিকেড মানে না কেউই। রং সাইড দিয়ে অবাধে চলছে গাড়ি এবং পথচারীরা। কোথাও রেল লাইনের উপর বসছে বাজার। অরক্ষিত এসব রেলক্রসিংগুলোতে গেটম্যানের অবহেলায় একের পর এক হওয়া দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পরও টনক নড়ছে না কর্তৃপক্ষের। এমনই একটি অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে শুক্রবার (২৯ জুলাই) প্রাণ গেছে ১১ জনের।
চট্টগ্রামের ঝাউতলা রেলক্রসিংয়ে ট্রেন চলে যাওয়ার সাথে সাথেই টেবিল চেয়ার পেতে বসে পড়েন দোকানিরা। ক্রসিংয়ের দুই পাশে রেললাইনের উপর এমন শতাধিক দোকান বসলেও দেখার যেন কেউ নেই।
চট্টগ্রামের সবচেয়ে ব্যস্ততম কদমতলী রেলক্রসিংয়ের চিত্র আরও ভয়াবহ। ট্রেন কাছাকাছি চলে আসলে সড়কের দু’পাশে ফেলা ব্যরিকেড টপকেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে মানুষ। গেটম্যান এখানে যেনো অসহায়। এই ক্রসিংটি দিয়ে চট্টগ্রাম-ঢাকা-সিলেটসহ বিভিন্ন রুট এবং ডকইয়ার্ড মিলিয়ে প্রতিদিন আসা যাওয়া করে ৩ শতাধিক ট্রেন। কিন্তু এখানে নিরাপত্তা সামলানোর মানুষ মাত্র দু’জন।
রেলের প্রকৌশল দফতরের তথ্য মতে, সারাদেশে অনুমোদিত রেলক্রসিং রয়েছে ১ হাজার ৫৪০টি। এর বাইরে অবৈধ ক্রসিংয়ের সংখ্যা হাজারেরও বেশি। যার মধ্যে পূর্বাঞ্চলেই ৮৫০টি। আর শুধুমাত্র চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যেই রয়েছে ৭০টি অবৈধ লেবেল ক্রসিং।
গত ৫ বছরেই অবৈধ এসব রেলক্রসিংয়ে দুর্ঘটনায় মারা গেছে অন্তত ১২০ জন। সর্বশেষ শুক্রবার মীরসরাইয়ে বড়তাকিয়া রেলক্রসিংয়ে প্রাণ যায় ১১ জনের।
এসজেড/
Leave a reply