ইউক্রেনের কারাগারে রকেট হামলা: মস্কো-কিয়েভের পাল্টাপাল্টি দোষারোপ

|

ইউক্রেনের দোনেৎস্কের ওলেনিভকা কারাগারে গতকাল শুক্রবার (২৯ জুলাই) দু’দফা চালানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হাইমার্স রকেট হামলা। পুড়ে ছাই হয়ে যায় যুদ্ধবন্দিদের রাখা ভবনটি। মুহূর্তেই প্রাণ যায় অর্ধশতাধিক বন্দির। রুশপন্থি ওই এলাকায় হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে মস্কো। যদিও কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করে কিয়েভ। খবর এপি’র।

কিয়েভের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে কারাগারে রকেট হামলায় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে পুতিন বাহিনী। তাতে যুদ্ধাপরাধ করেছে পুতিন সরকার। কারাবন্দিদের হত্যার ঘটনায় রেডক্রস, জাতিসংঘকে তদন্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। একইসঙ্গে মস্কোকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্রের তকমা দেয়ার দাবিও জানান তিনি।

ভোলদেমির জেলেনস্কি বলেন, কারাগারে হামলা চালিয়ে পরিষ্কারভাবে যুদ্ধাপরাধ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয়দের ওপর তারা গণহত্যা চালাচ্ছে। কিন্তু অ্যাজভস্থল ছেড়ে যাওয়ার সময় জাতিসংঘ ও রেডক্রসের মধ্যস্ততায় নাগরিকদের নিরাপত্তায় যে চুক্তি করা হয়েছিল, তা কোনোভাবেই মানা হচ্ছে না। তাই বাকি কয়েদিদের প্রাণ রক্ষায় সংস্থাগুলোকে অবশ্যই তদন্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

দোনেৎস্ক ছাড়াও খেরসনসহ নতুন করে বিভিন্ন এলাকায় হামলা জোরদার করেছে পুতিন বাহিনী। নির্বিচারে চালছে গোলাবর্ষণ। কিয়েভ বলছে, তাদের নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালানো হচ্ছে।

ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের দাবি, সুস্পষ্টভাবে রাশিয়াকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার সময় এসেছে। এ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ ভূমিকা প্রয়োজন। মস্কোর বেপরোয়া আচরণ সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে। এসব বিষয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকেও জানানো হয়েছে। তাই এ নিয়ে মিথ্যা বলার সুযোগ নেই পুতিন সরকারের।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনও লঙ্ঘন করছেন পুতিন। তাই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যেকোনো শক্ত পদক্ষেপ নিতে কিয়েভের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে জোটটি।

/এমএন


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply