ওয়েসলি মাধেভেরে ক্রিজেই ছিলেন। তিনে নেমে অ্যাঙ্করিংয়ের দায়িত্ব পালনের সাথে বলের গুণ বিচার করে হাঁকাচ্ছিলেন বাউন্ডারি। কিন্তু পাঁচে ব্যাট করতে নেমেই বাংলাদেশের বোলারদের লাইন লেংস্থ নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেন সিকান্দার রাজা। আর এই দুই ব্যাটারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশের সামনে ২০৬ রানের বিশাল টার্গেট দিয়েছে জিম্বাবুয়ে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১৫ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রেজিস চাকাভা। এরপর হাত খুলে খেলার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। কিন্তু মোসাদ্দেক হোসেনের বলে প্লেইড অন হয়ে ব্যক্তিগত ২১ ও দলীয় ৪৩ রানের মাথায় আউট হন আরভিন। এরপর ওয়েসলি মাধেভেরেকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়েন শন উইলিয়ামস। আর এই রান আসে মাত্র ৩৭ রানে। নাসুম আহমেদ, আফিফ হোসেনদের ওভারে ১১, ১২ করে রান তুলছিলেন শন উইলিয়ামস। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান তখন আক্রমণে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমানকে। আর প্রথম বলেই দুর্দান্ত কাটারে বিভ্রান্ত করে শন উইলিয়ামসকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ। আর ১৯ বলে ৩৩ রান করা শন উইলিয়ামসের বিদায়ে স্বস্তি ফেরে টাইগার শিবিরে।
কিন্তু তখনও সোহান-মোস্তাফিজরা জানতেন না কী অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। ১২.২ ওভারে ৯৯ রানের মাথায় ক্রিজে মাধেভেরের সাথে যোগ দেন সিকান্দার রাজা। এরপরের ইতিহাসজুড়ে কেবল বাইন্ডারি লাইন থেকে বল কুড়িয়ে আনা! শরিফুলকে ওভার দ্য হেড বিশাল ছয় মেরে বলই হারিয়ে ফেলেন রাজা। এরপর মোস্তাফিজের করা ২০ তম ওভারে ১৯ রান তুলে দলীয় সংগ্রহকে ২০৫ রানে নিয়ে যান জিম্বাবুয়ের এই অলরাউন্ডার। ৯টি চারের সাহায্যে ৪৬ বলে ৬৭ রান করে আহত হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাধেভেরে। আর অন্যদিকে, মোস্তাফিজ-শরিফুলদের ওপর ঝড় বইয়ে দিয়ে ২৬ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন সিকান্দার রাজা। এই ইনিংসে ৭টি চার ও ৪টি ছয়।
/এম ই
Leave a reply