লালমনিরহাটে বন্যার কিছুটা উন্নতি, এখনো পানিবন্দি ১০ হাজার পরিবার

|

লালমনিরহাট প্রতিনিধি:

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেড়েছে মানুষের দুর্ভোগ। বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল ৬টায় ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ব্যারাজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে হওয়ায় ব্যারাজের ভাটিতে থাকা হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নদী তীরবর্তী চর ও নিম্নাঞ্চলগুলোর বাড়িঘর থেকে পানি সরতে শুরু করেছে।

গত ১ আগস্ট সোমবার ভারতের উজানের ঢলে ও টানাবর্ষণে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপরে ও গত মঙ্গলবার বিকেলে ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১০ সে.মি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে ব্যারাজের ভাটিতে থাকা জেলার হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়ে ১০ হাজার পরিবার। এতে রোপা আমন ধান, বীজতলা, পাটক্ষেত তলিয়ে গিয়ে ফসলের ক্ষতি হয়। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। বাড়িঘরে পানি উঠায় গরু ছাগল নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন বানভাসি মানুষজন।

গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানভাসি মানুষদের জন্য ৩ হাজার ১শ’ শুকনো খাবার প্যাকেট ও ৮৪ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকেলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণ শুরু হলেও বানভাসিদের চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল। তবে আজ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরকারিভাবে ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করবে বলে জানা গেছে। পানিবন্দি মানুষদের তালিকা করার কাজ চলছে। এছাড়াও পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত আছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি, সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
ইউএইচ/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply