চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার উদ্যোগ নেই: সৈয়দ আশরাফ

|

জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ থেকে বাড়িয়ে ৩৫ করার কোনো উদ্যোগ আপাতত সরকারের নেই।

তিনি বলেন, সাধারণ প্রার্থীদের জন্য চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩০ বছর, বিধায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করার পরও তারা চাকরিতে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৬-৭ বছর সময় পাচ্ছেন।

বুধবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের সেশনজট থাকলেও বর্তমানে উল্লেখযোগ্য সেশনজট নেই বললেই চলে।

ফলে শিক্ষার্থীরা সাধারণত ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮ বছরে এইচএসসি এবং ২৩-২৪ বছরে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ পেয়ে যান বলে জানান জনপ্রশাসনমন্ত্রী।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, এ ছাড়া ৩০ বছর বয়সসীমার মধ্যে একজন প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করলে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে ২-১ বছর সময় লাগলেও তা গণনা করা হয় না।

তিনি বলেন, বর্তমানে চাকরি থেকে অবসরগ্রহণের বয়সসীমা ৫৭ থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হওয়ায় শূন্যপদের সংখ্যা স্বাভাবিকভাবেই কমে গেছে। এ প্রেক্ষাপটে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ালে বিভিন্ন পদের বিপরীতে চাকরিপ্রার্থীদের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাবে। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও বেশি প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হতে পারে।

সৈয়দ আশরাফের মতে, এতে করে যাদের বয়স বর্তমানে ৩০ বছরের ওপর তারা চাকরিতে আবেদন করার সুযোগ পেলেও অনূর্ধ্ব ৩০ বছরের প্রার্থীদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হতে পারে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply