জাল হচ্ছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট, রাজধানীতে গ্রেফতার দুই

|

রাজধানীতে গ্রেফতার হয়েছে ভুয়া পুলিশ সার্টিফিকেট ইস্যুকারী দুই জালিয়াত।

জাল হচ্ছে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট। বিদেশে শিক্ষার্থী বা কর্মী পাঠানোর সময় পুলিশের সনদ জাল করছে বিভিন্ন এজেন্সি। ১৫-২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিদেশগামীদের জাল সনদ ধরিয়ে দেয় তারা। আর বিদেশে যাওয়ার পর ভুয়া সনদ ধরা পড়ে চাকরি হারাচ্ছেন প্রবাসী কর্মীরা। সম্প্রতি জালিয়াতির অভিযোগে রাজধানী থেকে এমন একটি ট্রাভেল এজেন্সির প্রধানসহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নাঈম হোসেন নিলয়, বিদেশে কর্মী বা শিক্ষার্থী পাঠানোর পরামর্শক এজেন্সি জেএসএন ইন্টারন্যাশন্যালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। পাসপোর্ট, ভিসা, স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে দেয়াসহ সব কাজ করে তারা। বিশেষ করে ইউরোপে মানুষ পাঠানোর বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।

কিন্তু, সম্প্রতি রোমানিয়ায় বাংলাদেশের জন্য ঘটেছে খারাপ একটি ঘটনা। জেএসএন এর মাধ্যমে বিদেশ যাওয়া ৩০ জনকে একসাথে চাকরিচ্যুত করে সেখানকার একটি প্রতিষ্ঠান। ভুক্তভোগীরা পরে জানতে পারেন, বাংলাদেশ থেকে নেয়া তাদের পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট ভুয়া। এজন্য বাতিল হয় তাদের ওয়ার্ক পারমিট।

ভূক্তভোগীদের একজন যমুনা নিউজকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়ে জানান তার ও অন্যান্য ভূক্তভোগীদের দুর্ভোগের কথা।

ভূক্তভোগীরা শরণাপন্ন হন ঢাকার ডিবি পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের। তদন্ত করে জানা যায়, পুলিশের ওয়েবসাইটে আবেদন না করেই, সনদ জাল করে বিদেশ পাঠাতো ওই ট্রাভেল এজেন্সি। অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের এমডি নিলয় ও কর্মকর্তা সামিউল ইসলাম সজিবকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।

ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেন, কিছু মানুষ মনে করে যে যেহেতু তাদের সমস্ত কাজ ওই ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ করে দিচ্ছে তাহলে নিশ্চয়ই এই কাজটাও তারাই করে দেবেন। আবার এমন অনেক চক্র আছে যাদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। সে কারণে অসাধু চক্র বা আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে টাকা লেনদেন ও যোগসাজসের মাধ্যমে জালিয়াতের আশ্রয় নিয়ে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট নেয় তারা।

সম্প্রতি, একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে শুধু মৌলভীবাজার জেলা থেকেই ৬৭৮ জনকে ভূয়া পুলিশ ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। যা বিভিন্ন দেশে যাওয়ার পর ধরা পড়ছে। সারাদেশে জাল সনদ চক্র সক্রিয় বলে ধারণা পুলিশের।

এ প্রসঙ্গে ডিএমপি ডিবি সাইবার বিভাগের উপ-কমিশনার তারেক বিন রশিদ বলেন, ২০১৯ সাল থেকে এ ধরনের কাজ শুরু করে তারা। এবং এ কাজে বেশ মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ আছে। প্রত্যেকটা সার্টিফিকেটের জন্য তারা ১৫-২০ হাজার টাকার নিতো। সনদ জালিয়াতি রোধে কিউআর কোডটি স্ক্যানার দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়ার পরামর্শ পুলিশের।

সনদ জালিয়াতি রোধে কিউআর কোডটি স্ক্যানার দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নেয়ার পরামর্শ পুলিশের।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply