জ্বালানির দাম বাড়ানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে

|

জ্বালানির দাম বাড়ানোর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারেও। সবজি, ডিম, মাছ, মাংস, চাল-সবকিছুর দামই বেড়ে গেছে। সবজি কেজিতে বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। তবে, লাফিয়ে বেড়েছে ডিমের দাম। খুচরা পর্যায়ে এক হালি ডিম পঞ্চাশ টাকা। বাজারে গিয়ে নাকাল সাধারণ মানুষ।

কাঁচা বাজারে আসা প্রত্যেকটা মানুষের চোখেমুখে এখন অস্বস্তির ছাপ স্পষ্ট। বেড়েছে প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম মেটাতেই এখন হিমশিম অবস্থা তাদের। বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। খানিকটা কমলেও এখনও ৩০০ ছুঁইছুঁই করছে কাঁচা মরিচের দাম।

প্রতি কেজি টমেটো, গাজর, করলা, শসার জন্য গুণতে হবে ১০০ টাকার বেশি। অন্যান্য সবজির দামও ৭০-৮০ টাকার মধ্যে। গত তিন দিনে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫-২০ টাকার বেশি। বাড়তি দরের জন্য বিক্রেতরা জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধিকেই দুষছেন। বলছেন, পরিবহন খরচ বেড়ে যাওয়ার প্রভাব পড়ছে প্রতিটি পণ্যে। বলছেন, আমাদের আয় বাড়েনি, কিন্তু ব্যয় বেড়েছে প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই।

বাজারে আসা একজন ক্রেতা বললেন, দেশের জনগণ কীভাবে আছে? তারা কী স্বস্তিতে আছে? এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশে চোর-ডাকাত বেড়ে যাবে। কারণ, আয় নেই অথচ ব্যয় বেশি।

জ্বালানি তেলের মুল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে চালের বাজারেও। মোটা-চিকন সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ৪-৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। প্রতি কেজি কাটারিভোগ চালের জন্য গুণতে হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকা। মিনিকেট ৬৫-৬৮ টাকা। আর মোটা চালের জন্য দিতে হবে ৫০ টাকার বেশি। একজন ব্যবসায়ী বললেন, মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে বস্তা প্রতি দাম বেড়েছে ২০০ টাকারও বেশি। অর্থাৎ, প্রতি কেজিতে বেড়েছে ৫টাকা। তেলের দাম বাড়ার সাথে সাথে চালেরও দাম বেড়ে গেছে।

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জেলেরা সাগড়ে মাছ ধরতে যেতে পারছেন না। তাই স্থানীয় আড়তগুলোতে কমেছে মাছের যোগান। যার প্রভাবে দামও বেড়েছ। স্বস্তি নেই ডিমের বাজারেও। দশদিনের ব্যবধানে প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে দশ টাকার বেশি। প্রতি ডজন ফার্মের মুরগির ডিমের জন্য দিতে হবে ১৫০ টাকা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply