কোনো ধরনের ছাড় দেননি ‘আশাবাদী’ ট্রাম্প

|

এভাবেই সমঝোতার বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ট্রাম্প

সিঙ্গাপুরে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সাথে বৈঠক হলেও সেখানে কোনো ধরনের ছাড় দেননি বলে দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সামনে অসীম সম্ভাবনা। পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ বাস্তবায়ন করলে অবিশ্বাস্য একটি জায়গা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে তারা।

‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলার’ অবসান ঘটবে আশা প্রকাশ করে ট্রাম্প বলেন, স্বাক্ষরিত বিবৃতির শর্ত অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র এখনই সেনাবাহিনী সরিয়ে নেবে না। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে নিয়মিতভাবে আয়োজন করা যৌথ সামরিক মহড়া দেয়া বন্ধ করবে তারা। নিয়মিত এসব সামরিক মহড়ার কারণে ক্ষুব্ধ ছিল উত্তর কোরিয়া।

উত্তর কোরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে চান উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ সম্পর্কে পুরোপুরি নিশ্চিত না হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে চান না তিনি। জানান, উত্তর কোরিয়ায় যুদ্ধবন্দী মার্কিন সেনাসদস্যদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।

কিমের সঙ্গে সংক্ষেপে মানবাধিকার সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, আজকে এবিষয়ে আমি জিজ্ঞেস করেছি এবং আশানুরূপ উত্তর পেয়েছি।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, কিম খুবই প্রতিভাবান। তিনি খুব কম বয়সে একটি দেশের ক্ষমতা নিয়েছেন ও কঠোরভাবে দেশটি পরিচালনা করছেন।

পরমাণু অস্ত্র নিরস্ত্রীকরণে উত্তর কোরিয়া পিছু হটলে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি আশাবাদি ইতিবাচক সমাধান আসবে। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলতে চাই না।

ট্রাম্পের দাবি এখন পর্যন্ত এ বৈঠক সফল হয়েছে। বলেন, কিমের সাথে বৈঠক ছিল আন্তরিক, খোলামেলা ও গঠনমূলক। অত্যন্ত ঘটনাবহুল ২৪ ঘণ্টা পার করলাম আমরা। সত্যি বলতে ঘটনাবহুল তিনটি মাস পার হলো।

তবে, অনেক বিশ্লেষকই মনে করছেন যে যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক উত্তর কোরিয়ার জন্য কূটনৈতিক বিজয়।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply