মেহেরপুরে রেল সংযোগ, পূরণ হচ্ছে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন

|

মেহেরপুরের মুজিবনগর স্টেশন দেখতে যেমন হবে।

মেহেরপুরে আসছে রেল সংযোগ; পূরণ হতে যাচ্ছে মেহেরপুরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এতে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষি নির্ভর জেলাটির বহু মানুষ। পর্যটক বাড়বে স্বাধীনতার স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক এ জেলায়। দর্শনা থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত এ রুটে থাকবে ৬টি স্টেশন। শিগগিরই শুরু হবে রেললাইন স্থাপনের কাজ।

প্রায় ১১ বছর আগে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের সভায় মেহেরপুরকে রেল সংযোগের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার সত্যি হতে চলেছে সেই স্বপ্ন।

এরপর, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে নেয়া হয়েছিলো রেল লাইন নির্মাণের সম্ভাব্যতা যাচাই ও নকশা প্রণয়নের প্রকল্প। যার সময়সীমা শেষ হয় চলতি বছরের জুনে। এবার প্রাথমিক কাজ শেষে শুরু হতে যাচ্ছে রেললাইন বসানোর কাজ।

মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন বলেন, সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের যে কাজ তা সম্পন্ন হয়েছে। লাইন নির্মাণের কাজ শুরু হবে, এ কাজের প্ল্যান করা হচ্ছে। আশা করছি, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই বাকি যে কাজগুলো সেগুলোও সম্পন্ন হবে।

স্থানীয়রা বলছেন, রেল সংযোগের মাধ্যমে কৃষি ও পর্যটন খাতে আসবে বিপুল পরিবর্তন, ঘটবে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।

সম্ভ্যাব্যতা যাচাইয়ে দেখা গেছে, ৫৬ কিলোমিটার রেললাইনের জন্য ৪২১ একর জমি অধিগ্রহণ করতে হবে রেল কর্তৃপক্ষকে। তবে, জমির ন্যায্যমূল্য যেনো নিশ্চিত করা হয় তা নিশ্চিতের দাবি জমি মালিকদের।

জমির মালিকরা বলছেন, জমির মূল্য এখন বিঘাপ্রতি ১৪-১৫ লাখ টাকা। কিন্তু আমাদেরকে কী পরিমাণ দেবে তা এখনও নিশ্চিত না।

প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে মেহেরপুর পর্যন্ত এ রেললাইনে থাকবে ৬টি স্টেশন। নির্মিত হবে ভৈরবের ওপর দু’টি এবং মাথাভাঙ্গা নদীর ওপর একটি সেতু। থাকবে ৬৩টি কালভার্টও। প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫৮ কোটি টাকা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply